স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

:
: ৭ years ago

ভালোবেসে বিয়ে। অতঃপর দীর্ঘ ৩ বছর সংসার জীবন। কিন্তু যখন স্ত্রীর দাবীকৃত শশুর বাড়িতে গেলো পুত্র বধুর স্বীকৃতি পেলোনা। শুধু তাই নয় ভালোবাসার স্বামীও স্ত্রীকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। অপমান, অপদস্ত আর গালিগালাজ পেয়ে অবশেষে আইনের দ্বারস্থ হতে হলো। হ্যাঁ হতভাগী এই মেয়েটির নাম মুনিয়া সারমিন পিয়া। নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ড বাটার গলি নিবাসী খালেক উদ্দিন সেন্টু’র পুত্র আল-আমিন সানির সাথে পিয়ার গভীর ভালাবাসা গড়ে ওঠে।

এক সময়ে দুজনার সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের কাজটি গোপনে সম্পন্ন হয়। এরপর পিয়াকে নিয়ে আল-আমিন ঢাকার মগবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে থাকে। যখন-ই প্রয়োজন পড়তো আল-আমিন পিয়াকে তার বাবার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতো। এভাবে ৫ লাখ টাকা বাবার কাছ থেকে আল-আমিন কে এনে দেয় পিয়া। সম্প্রতি পিয়াকে না জানিয়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে নগরীতে চলে আস আল-আমিন। হতভাগী পিয়ার দিন কাটে স্বামীর পানে পথ চেয়ে। ২০১৬ সালে নিরুপায় পিয়া বরিশালে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। কিছুদিন স্বামী আল-আমিন পিয়ার কাছে আসা যাওয়ার পর খোজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর  অসহায় পিয়া নগরীর বাটার গলিস্থ আল-আমিনের বাবার বাড়িতে যায়। পুত্রবধুর মর্যাদার দাবী জানালে শশুর ও শাশুরী মিলে পিয়াকে গালিগালাজ সহ মারধোর করে। বাবা মা’র সাথে যোগ দেয় স্বামী আল-আমিনও। স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে। অপমানের গ্লানী আর হতাশা নিয়ে পিয়া গিয়ে হাজির হয় কোতয়ালী মডেল থানায়। অভিযোগ দাখিল জানিয়ে কেঁদে ফেলে। অভিযোগ নং ৯০৫/১৭। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এস আই মশিউরকে।