কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সাংসারিক বিরোধের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যার পর তার স্বামী পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দিবাগত রাতে নিহত হন উপজেলার চরপাড়ায় এক সন্তানের জননী শারমীন আক্তার বানু (২৫)। বৃহস্পতিবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মা বৃদ্ধা জহুরা জানান, প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর চার বছর আগে মোবাইলে প্রেম করে শারমীন আক্তার বানু ভিনদেশী দেলোয়ার হোসেন আপনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে সামান্য ঘটনার ঘটলে জামাতা দেলোয়ার স্ত্রী শারমীনকে ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যেতন। স্ত্রী বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দিলে সে আবার ফিরে আসত।
তিনি জানান, সম্প্রতি দেলোয়ার স্থানীয় একটি ইট ভাটায় কাজ নেয়। ঋণের টাকা ও সংসারের খরচ নিয়ে তিন দিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার দিনগত রাতে নিজের বাড়িতে দেলোয়ার শারমীনের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে আত্মগোপন করে।
গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মগে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত শারমীন উপজেলা সদরের চরপাড়া গ্রামের হোসেন আলী শেখের মেয়ে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের স্বামীকে আটক যায়নি। সে আত্মগোপনে রয়েছে। তার প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে নিহতের পরিবার বলছে, বিয়ের সময় সিলেটের ঠিকানা দিয়েছিল।
নিহতের একমাত্র মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী বন্যা জানায়, সকালে বাড়ির একটি জায়গায় সে মায়ের রক্তাত নিথর দেহ পরে থাকতে দেখে। এসময় চিৎকার করে নানী বাড়ি গিয়ে খবর দেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে সে তার মবাবাকে দেখতে পায়নি। তবে বাবা মায়ের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল বলে সে নিশ্চিত করেছে।
ঘটনাস্থলেে খোকসা থানার এসআই সুরঞ্জিত জানান, গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মাটি কাটার কোদাল দিয় কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নিহতের ঘর থেকে ঘাতক স্বামীর পৃথক নামে দুইটি জাতিয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় পত্র দুটিতে দেলোয়ার হোসেন ও আপন চৌধূরী নাম ব্যবহার করেছে সে।
এ ব্যাপরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমানকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।