বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি। এছাড়াও এনেছেন প্রতারণার অভিযোগ। ভারসোভা থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে আলিয়ার আইনজীবী।
এর আগে নওয়াজউদ্দিনের ভাইয়ের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন আলিয়া। বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও করেছেন নাওয়াজের বিরুদ্ধে। দেবরের বিরুদ্ধে তিনি ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৫, ৩৭৬ (কে), ৩৭৬ (এন), ৪২০, ৪৯৩ ধারায় মামলা করেছেন আলিয়া। যদিও নওয়াজের ভাইয়ের দাবি, এসবই আলিয়ার ছক। যাবতীয় টাকা সম্পত্তি নিজের হাতে পাওয়ার জন্য।
আলিয়ার অভিযোগ নওয়াজ তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাকে অকথ্য ভাষায় অপমান করেছেন। নানাভাবে তার মানহানির চেষ্টা করেছেন।
১৯ মে আলিয়া বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান নওয়াজকে। কিন্তু তার ১৫ দিন পরও নওয়াজের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর মিলেনি। এমনকী নওয়াজ তাকে টাকা পাঠানোও বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। যার ফলে বাচ্চাদের স্কুলের বেতন তিনি দিতে পারেননি। নানাভাবে তিনি নওয়াজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারেননি।
এদিকে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের উত্তর দিয়েছেন নওয়াজও। তার হয়ে আইনজীবি আদনান শেখ জানিয়েছেন, ‘আমার মক্কেল তার সন্তানদের পড়াশোনা ও যাবতীয় খরচ প্রতি মাসে পাঠান। তার প্রমাণও রয়েছে। এমনকী ইএমআইগুলোও তিনি দেন। সেই কাগজও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আলিয়া ইচ্ছে করে নওয়াজের নামে এই সব অপবাদ দিচ্ছেন। সর্বসমক্ষে তাকে ছোট করছেন। নওয়াজ তার নোটিশে আরও লেখেন, আলিয়াকে এরপর লিখিত দিতে হবে যে, কোনোরকম মানহানিকর মন্তব্য তিনি নওয়াজের বিরুদ্ধে করবেন না। এমনকী যে যে মিথ্যে মন্তব্য করেছেন তাও প্রত্যাহার করে নেবেন। নইলে নওয়াজের টিম আলিয়ার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেবে।
আলিয়া-নওয়াজের দাম্পত্য ১১ বছরের। সম্পর্ক ১৭ বছরেরও বেশি। একটি জাতীয় সংবাদ সংস্থাকে আলিয়া জানিয়েছিলেন, ‘বিয়ের একবছর পর, ২০১০ সাল থেকেই আমার আর নওয়াজের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। এতদিন আমি সব সামলে নিচ্ছিলাম। তবে এখন সবকিছু হাতের বাইরে চলে গেছে। সেকারণেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে হলো।’
আলিয়া অবশ্য নওয়াজের প্রথম স্ত্রী নন। এর আগে শাহিবা নামে একজনকে বিয়ে করেছিলেন নওয়াজ। মায়ের ইচ্ছাতেই শাহিবাকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সেই বিয়ে ৬ মাসও টেকেনি। এবার আলিয়ার সঙ্গেও শেষে পথে নওয়াজের দাম্পত্য জীবন।