সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্ত্রী লুবনা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছেন হেলাল মিয়া নামে এক যুবদল নেতা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার জানাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘাতক হেলাল মিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামস্থ চাচাতো ভাইয়ের বাড়ির গরুর ঘরে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রী লুবনা বেগমের গলা কাটার পর ছুরি হাতে নিয়ে পালিয়ে যান ঘাতক স্বামী হেলাল। এরপর আত্মীয়-স্বজনরা আহত অবস্থায় লুবনাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লুবনার পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নিজের পৈত্রিক বাড়ির পরিবর্তে কখনো মামার বাড়ি, কখনো শ্বশুর বাড়ি কিংবা কখনো অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন হেলাল মিয়া। বৃহস্পতিবার হেলাল মিয়া দুপুরে নিজের পৈত্রিক বাড়িতে আসেন। এরপর চাচাতো ভাইয়ের ঘরে বসে স্ত্রীকে ফোন করে আসতে বলেন। স্বামীর ফোন পেয়ে মা-ভাইকে সঙ্গে নিয়ে হেলালের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে আসেন লুবনা বেগম। এ সময় লুবনার ভাই রাসেলের সঙ্গে নিজের ছেলে আল-আমিনকে সিগারেট আনার জন্য বাজারে পাঠান হেলাল। এরপর স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে চাচাতো ভাইয়ের গরুর ঘরে যান হেলাল। সেখানে হাত বেঁধে লুবনার গলা কেটে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান হেলাল।
বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক হেলালকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।