#

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিন একাতেরিনবার্গে মুখোমুখি হয়েছিল উরুগুয়ে এবং মিসর। ওই ম্যাচে দেখা যায় অনেক সিটই ফাঁকা। প্রক হিসেবে দেখা যায় প্রায় ৫ হাজার সিট ছিল ফাঁকা। ফিফার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩৫,৬৯৬ দর্শক ধারণক্ষমতার একাতেরিনবার্গ এরেনায় মোট ৩২,২৭৮টি টিকিট বিক্রি হয়। যদিও আশ্চর্যজনকভাবে ম্যাচে উপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ২৭,০১৫ জন।

বিশ্বকাপের মতো এতবড় আসরে এরকম ঘটনা কি কিছুটা হলেও রাশিয়ানদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করলো না? এ কারণে রাশিয়ান সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রশ্ন তুলছে কেন মাঠের প্রথম সারির চেয়ারগুলোও ফাঁকা ছিল? যেখানে কি-না তাদের টিকিট কিনতে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়! তবে কি অতিরিক্ত দাম অথবা টিকিট বণ্টন সঠিকভাবে করতে পারলো না ফিফা?

অবশ্য এর উত্তর দিয়েছে ফিফা কতৃপক্ষ। মূলতঃ টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া ঠিকই ছিল আর টিকিট ঠিক সে পরিমাণই বিক্রি হয়েছিল যতটা জানানো হয়েছিল। তবে কেন মাঠে দর্শক এলো না? এই প্রশ্নের উত্তরে আঞ্চলিক গভর্নর ইয়েভজি কুইভসভ জানালেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমিও প্রচণ্ড অখুশি মাঠে এরকম পরিস্থিতি দেখে। তবে আমার এখানে কোন হাত নেই বা আমি এ ব্যাপারে তেমন কিছু জানিও না। আমাদের ফিফার কর্মকর্তারাই এ ব্যাপারে স্পষ্ট বলতে পারবেন।’

ফিফার এক মুখপাত্র আসন ফাঁকা থাকার কারণ স্পষ্ট করলেন। আইরিশ মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানানো হয়, টিকিট বণ্টন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ঠিক ছিল আর দর্শকরা খেলা দেখতে টিকিট কিনেওছিল। তবে হয়ত তারা টিকিট বাতিল করতে চেয়েছিল; কিন্তু তারা টিকিট বাতিলও করেনি আর মাঠে খেলা দেখতেও উপস্থিত ছিলেন না। ঠিক এজন্যই সিটগুলো ওইদিন ফাঁকা ছিল।

অন্যদিকে গুঞ্জন উঠেছে, টিকিট কালোবাজারী হওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে। ফিফার এত কঠোর নিয়ম সত্ত্বেও কীভাবে জাল টিকিট বিক্রি হয়, সেটা নিয়েই এখন দারুণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তারওপর স্বাগতিক রাশিয়ানদের খেলা নিয়ে আগ্রহ খুবই কম। যে কারণে, টিকিট কিনেও অনেকে মাঠে আসছেন না। ফলে আসন থেকে যাচ্ছে ফাঁকা।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন