নগরীর রুপাতলীতে স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত এবং শ্লীলতাহানীর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুই সহোদর ইভটিজারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই ফরিদুল আলম গতকাল থানা সংশ্লিষ্ট জিআরও শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে অভিযোগে দুই সহোদর আসামি হলো, রুপাতলীর ভাষানি সড়কস্থ সোহরাব খান হাউজিংয়ের বাসিন্দা হাবিব হাওলাদারের ছেলে সিহাব হাওলাদার ও বেল্লাল হাওলাদার।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সোহরাব খান হাউজিংয়ের বাসিন্দা আইয়ুব আলী খানের মেয়ে খাদিজা আক্তার মুক্তি এ.আর এস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীতে পড়াসুনা করছে। সে স্কুলে এবং কোচিংয়ে যাওয়া আসার পথে বিভিন্ন সময় ইভটিজিং করে আসছিলো আসামি সিহাব। বিষয়টি মুক্তির পরিবার সিহাবের পরিবারকে জানালে সিহাব আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ২০ জুন বিকেলে স্কুল থেকে পায়ে হেটে বাড়ি ফেরার পথে মুক্তির পিছু নেয় সিহাব। এসময় তার পিছু নিয়ে বিভিন্ন উত্ত্যক্ত মুলক ইভটিজিং করে সিহাব। বাসায় গিয়ে মুক্তি তার মাকে জানালে তার মা মেয়েকে নিয়ে সিহাবদের বাড়িতে যায় নালিশ দিতে।
এসময় বাড়ির সামনেই দেখা হয় সিহাবের ভাই বেল্লালের সাথে। মুক্তির মা পুরো বিষয়টি বেল্লালকে জানালে ভাইকে শাসন করার পরিবর্তে উল্টো মুক্তি ও তার মাকে অশ্লিল ভাষায় গালাগাল দেয় বেল্লাল। এক পর্যায় সেখানে সিহাব এসে মুক্তির উরনা টেনে রাস্তায় ফেলে দিয়ে তার শরিরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে শ্লিলতাহানী করে। এসময় মুক্তি ও তার মায়ের ডাক চিৎকারে সেখানে মুক্তির বরো বোন ছুটে আসলে আসামি সিহাব ও তার ভাই বেল্লাল সেখান থেকে চলে যায়। তবে যাওয়ার আগে দুই ভাই জানায়, মুক্তি কিভাবে স্কুলে যাওয়া আসা করে তা দেখে নেবে। এ ঘটনায় পরদিন মুক্তি বাদি হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় দুই ভাইকে আসামি করে ইভটিজিং আইনে একটি মামলা দায়ের করে।