ক্ষুদে চিত্রশিল্পী ময়না আক্তার জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি একে অবাক করে দিয়েছে প্রতিবেশি, সহপাঠি ও শিক্ষকদের। এখন স্কুলের খাতায় রং পেন্সিল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবি আঁকার চেষ্টা করছে সে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার অজপাড়াগাঁয়ের এই ক্ষুদে চিত্রশিল্পীর আকাঁ বঙ্গবন্ধুর ছবি ইতোমধ্যে স্থানীয় আওয়ামীলীগ অফিসে ঠাঁই পেয়েছে।
উপজেলার পাখিমারা প্রফুল্লমন ভৌমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সময়টুকু বাদ দিয়ে বাকি সময়টা কাটায় ছবি আঁকা আর কবিতা লিখে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লিখে বই প্রাকাশের এমন অদম্য ইচ্ছার কথা জানিয়েছে ওই শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের কবির গাজীর একমাত্র কন্যা ময়না আক্তর বঙ্গবন্ধুর অবদানকে শুধু শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করেই থেমে থাকেনি, মনের মাঝে আকা ছবি রং তুলিতেও প্রকাশ পেয়েছে। ১৫ আগষ্টে শেখ মুজিবের ছবি একে ও কবিতা লিখে নজর কেড়েছে স্থানীয় সকল সাধারণ মানুষের।
ক্ষুদে চিত্রশিল্পী ময়না জানায়, বিশ্বসেরা মহান নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এ দেশকে স্বাধীন করে দিলেন। আমি এ মহান মানুষটিকে দেখিনি। বাবা-মা ও শিক্ষকদের কাছে শুনেছি দেশের জন্য তার আত্মত্যাগের বহু কাহিনী।
এ মানুষটিকে বুকে লালন করে রং তুলি দিয়ে ছবি একেছি। এখন তারই কন্যা প্রাধান মন্ত্রী শেখ হাসিনর ছবি আঁকার চেষ্টা করছি।
ময়নার মা শিউলি বেগম জানান, বাড়িতে একটু সুযোগ পেলেই ও শুধু মোবাইলে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শোনে। আর পেন্সিল দিয়ে খাতায় ছবি আঁকে।
ময়নার বাবা কবির গাজী জানান, আমাদের পরিবার সকলেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। আমার মোবাইলে বঙ্গবন্ধুর ভাষন রেকর্ড করা আছে। বাড়িতে আসলেই ময়না নিয়ে ভাষন শোনে। এছাড়া তার আঁকা ছবি স্থানীয় আওয়ামী লীগ আফিসে বাধাই করে রাখা হয়েছে।
পাখিমারা প্রফুল্ল ভৌমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ময়না যেভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে প্রাণে লালন করে সেটা আসলেই অবিশ্বাস্য। ওর দেখাদেখি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত।
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান এড্যভোকেট মো.নাসির উদ্দিন মাহামুদ জানান, ওর মত ছোট একটি মেয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি এতো সুন্দর করে এঁকেছে তা কল্পনার অতিত। ওর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম আরো বেশি জাতির জনকের ইতিহাস জানুক আমরা সেই দোয়াই করি।