স্কুলছাত্রকে গাছে বেঁধে ‘পেটাল’ ছাত্রলীগ নেতা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
লালমনিরহাট

সাইকেল চুরির অভিযোগে এমদাদুল হক নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে গাছে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।  বুধবার সকাল ১১টার দিকে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্কুলছাত্র এমদাদুল হক উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের মৃত সফিকুল ইসলামের ছেলে। সে এ বছর মহিষখোচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মা আর বড় বোনকে নিয়ে বাবা হারা এমদাদুলের সংসার। বাবার মৃত্যু পর সংসারের খরচ মিটাতে স্কুলের পাশাপাশি মহিষখোচা বাজারের চায়ের দোকান করে সে। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যায় এমদাদুল। পরদিন সকালেই ফোন করে তাকে ডেকে আনে ওই বাজারের প্রভাবশালী মোখলেছার রহমানের ছেলে মহিষখোচা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিক বাবু (২৮)। এমদাদুল আসার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবু তাকে টেনে পাশের বাগান বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে এমদাদুলের হাত-পা গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে জানতে চান মঙ্গলবার রাতে তার দোকানের পাশে রাখা সাইকেলটি কোথায়? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমদাদুলকে মারপিট করে গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকিও দেন ছাত্রলীগ নেতা বাবু ও তার লোকজন। একপর্যায়ে এমদাদুলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় এমদাদুলের মা আঞ্জু বেগম বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে আদিতমারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসাধীন এমদাদুল জানায়, বাবুর দাবি করা সাইকেলের ব্যাপারে সে কিছুই জানে না। ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত বাবু আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মহিষখোচা হাটের ইজারাদার তমিজার রহমান বলেন, বিষয়টি শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম আম্বিয়া আদিল জানান, এমদাদুলের সারা শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডান কান ও মাথায় বেশ আঘাত পেয়েছে।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হলেশ্বর রায় জানান, অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।