একটু ধন্দে লাগতে পারে। ইসলামাবাদে খেলা হলো নাকি জাহানাবাদে। ইসলামাবাদ খ্যাত চট্টগ্রামের মাঠে খেলা কিন্তু চট্টলার কোন তারকা ছিলেন না। জাহানাবাদ তথা খুলনার দুই তারকা সেখানে গিয়ে ব্যাট হাতে রাজত্ব করলেন। সৌম্য-ইমরুল দু’জনেই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। দু’জন ব্যাট হাতে কচুকাটা করলেন জিম্বাবুয়ে বোলারদের। গড়েছেন রেকর্ড জুটি। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচেও ৭ উইকেটে উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে। টাইগাররা পূরণ করল তাদের হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে টাইগারদের ২৮৭ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। বড় লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই হারায় ওপেনার লিটন দাসের উইকেট। কিন্তু সেই ধাক্কা গায়েই লাগতে দেননি তিনে নামা সৌম্য সরকার ও ওপেনার ইমরুল কায়েস। তারা দু’জন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে গড়েন ২২০ রানের জুটি। যা দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এছাড়া যেকোন উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটিও গড়লেন তারা। প্রথমে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন সৌম্য সরকার। এরপর সেঞ্চুরি করেন ইমরুল কায়েসও। তাদের ব্যাটেই জয়ের ঘ্রাণ পেতে শুরু করে বাংলাদেশ।
খুলনা থেকে তৃতীয় ওয়ানডের দলে ফেরানো সৌম্য সরকার খেলেন ১১৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। দারুণ ওই ইনিংস খেলার পথে সৌম্যময় দুর্দান্ত সব শট খেলেছেন তিনি। মাঠের বাইরে আছড়ে ফেলেছেন ছয়টি ছক্কা। এছাড়া চার মারের নয়টি। তার আউটের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইমরুল কায়েস। তিনি থামেন ১১৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলে। তিন ম্যাচের সিরিজে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন তিনি। মাঠে ১০টি চারের পাশপাশি খেলেন দুটি ছক্কার মার।
তাদের আউটের পরে মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন বাংলাদেশকে জয়ের প্রান্তে পৌছে দেন। বাংলাদেশ ৪৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় পায়। এরআগে জিম্বাবুয়ে শেন উইলিয়ামসের ক্যারিয়ার সেরা ১২৯ এবং ব্রেন্ডন টেলরের ৭৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান তোলে। বাংলাদেশের হয়ে ৫৮ রানে ২ উইকেট নেন নাজমুল অপু। এছাড়া সাইফউদ্দিন এবং আবু হায়দার একটি করে উইকেট নেন।