ইয়েমেন থেকে শনিবার রিয়াদে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনা নিয়ে সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে বাগবিতণ্ডা বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে।
ক্ষমতাধর সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান বলছেন, ইরান ইয়েমেনি হুতি বিদ্রোহীদের এ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে কার্যত সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা ইরানের সমর্থন পাচ্ছে। অন্যদিকে, সৌদি আরবসহ আরও কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ ইয়েমেনি সরকারের সমর্থনে বিদ্রোহীদের ওপর দু’বছর ধরে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
সৌদি যুবরাজ ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের যে অভিযোগ করেছেন, তেহরানের সরকার তাকে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ যারিফ বলেছেন, সৌদি আরব, তার ভাষায়, একটি আঞ্চলিক মোড়লের ভূমিকা পালন করছে এবং এটা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য হুমকি।
ইয়েমেনের হুতিপন্থী এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় কিং খালেদ বিমানবন্দরের ওপর বিদ্রোহীরা একটি বুরকান এইচ-টু শ্রেণির দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। ইয়েমেনের সীমান্ত থেকে এ বিমানবন্দরের দূরত্ব সাড়ে আটশ কিলোমিটার।
সৌদি সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে, সৌদি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্রটিকে আকাশেই ধ্বংস করা হয়। কিন্তু এর কিছু অংশ ওই বিমানবন্দরে গিয়ে পড়ে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-যুবেইর সিএনএনকে বলেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে লেবাননের হেযবোল্লাহও জড়িত। ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে হেযবোল্লাহ গেরিলারা এ রকেট ছোড়ে বলে তিনি জানান।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি আরব জড়িয়ে পরার পর থেকে সৌদি জোটের বিমান আক্রমণে এ পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের শতকরা ৬০ ভাগই হচ্ছে বেসামরিক লোক।
সূত্র : বিবিসি বাংলা