মরুভূমির মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র ভরসা ছিল জিপিএস ট্র্যাকার। কিন্তু সিগন্যাল খারাপ হয়ে মরুভূমির মধ্যেই মৃত্যু হলো ভারতীয় এক যুবকের। সঙ্গে ছিলেন তার এক সহকর্মী। তাদের দুজনের মরদেহই উদ্ধার করা হয়েছে। পানিশূন্যতা ও ক্লান্তির কারণে তারা মারা গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, মৃতের নাম মহম্মহ শেহজাদ খান। তেলেঙ্গানার এই যুবক কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকতেন। তিন বছর ধরে তিনি সৌদির একটি টেলিকমিউনিকেশন সংস্থায় কাজ করছিলেন।
দিনকয়েক আগে সৌদির রাব আল খালি মরুভূমি পেরিয়ে অন্যত্র যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন শেহজাদ। তার সঙ্গে ছিলেন সুদানের আরেক যুবক। মরুভূমিতে যাত্রা শুরু করার দিনকয়েক পরেই নিখোঁজ হয়ে যান শেহজাদ। পরিচিতরা কেউই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
গত বৃহস্পতিবার মরুভূমির মধ্যে পথের ধারে শেহজাদ ও তার সঙ্গে থাকা যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তীব্র গরমে পানিশূন্যতা ও ক্লান্তিতে মৃত্যু হয়েছে তাদের।
ঠিক কী ঘটেছিল শেহজাদদের সঙ্গে? জানা গেছে, মরুভূমির মধ্যে তাদের মোবাইলের জিপিএস ট্র্যাকার বিকল হয়ে যায়। ফলে পথ হারিয়ে ফেলেন তারা। ফুরিয়ে যায় ফোনের ব্যাটারির চার্জও। কাউকে ফোন করে সাহায্য চাইতেও পারেননি শেহজাদ ও অপর যুবক।
মরুভূমির গোলকধাঁধায় ঘুরতে ঘুরতে গাড়ির জ্বালানি ও খাবারও ফুরিয়ে যায় তাদের। প্রবল গরমের মধ্যে আর লড়াই করতে পারেননি দুই যুবক। নিজেদের গাড়ির কাছেই তাদের মরদেহ মেলে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের এই মরুভূমি অত্যন্ত বিপজ্জনক। ৬৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মরুভূমিতে ৫০ ডিগ্রিরও বেশি তাপমাত্রা থাকে। ফলে এই মরুভূমি পেরতে গিয়ে একাধিকবার সমস্যার মুখে পড়েন সকলে।