সৌদিফেরত নারীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো এপিবিএন

:
: ৬ মাস আগে

ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বুধবার (৩ জানুয়ারি) সৌদি আরব থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান হুসনে আরা (২৯) নামের এক নারী। কিন্তু তিনি তার পরিবার বা নিজের বাসস্থানের ঠিকানা সম্পর্কে কিছু বলতে পারছিলেন না। পরে জানা যায়, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন।

একপর্যায়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) হুসনে আরার পরিবারকে খুঁজে বের করে এবং বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ব্র্যাকের সহায়তায় তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন হুসনে আরা। সেখানে এক বছরের বেশি সময় কাজ করার পর বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় তিনি ঢাকায় ফেরেন। এসময় তিনি বিমানবন্দরে এলোমেলো ঘোরাফেরা করছিলেন। বিষয়টি লক্ষ্য করার পর এপিবিএনের নারী সদস্যরা ওই নারীর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। তাকে বিমানবন্দরে এপিবিএন অফিসে নিয়ে ঠিকানা জিজ্ঞাস করলে তিনি কিছুই বলতে পারছিলেন না।

এপিবিএনের এই কর্মকর্তা বলেন, মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় এসময় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রজেক্টের সহযোগিতা নেয় এপিবিএন। পাশাপাশি প্রবাসী হুসনে আরার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে থাকে। পরিবারের সদস্যদের ট্রেস করার চেষ্টায় একসময় হুসনে আরার গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে খুঁজে বের করা হয়। তার সঙ্গে কথা বলে পরিবারের ঠিকানা ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাদের খবর দেওয়া হয়।

পরিবার থেকে জানানো হয় যে, হুসনে আরার দেশে ফেরার বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না। দেশে ফেরার বিষয়ে হুসনে আসা পরিবারকে কিছু জানাননি।

বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে হুসনে আরার মামা ঢাকায় আসেন এবং নিজের বোনের মেয়েকে এপিবিএন এবং ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রজেক্টের তত্ত্বাবধান থেকে বুঝে নেন। এসময় হুসনে আরার মুখে হাসি ফুটে ওঠে।

হুসনে আরার মামা সৈয়দ মাহমুদ জানান, তার ভাগনি সুনামগঞ্জের বাসিন্দা এবং মো. জয়নালের স্ত্রী। গত বছরের এপ্রিলে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। কিন্তু গত দুই মাস তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কারও যোগাযোগ ছিল।

তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে হুসনে আরার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এপিবিএন। তাদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে হুসনে আরার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তারা ঢাকায় আসেন এবং ব্র্যাকের লার্নিং সেন্টারে এপিবিএন এবং ব্র্যাকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাকে বুঝে নেন।