সোসাল মিডিয়া ফেসবুকের কল্যাণে মায়ের বুকে ফিরল বরিশালের বাকপ্রতিবন্ধি নাসরিন।।

:
: ৭ years ago
সোসাল মিডিয়া ফেসবুকের কল্যাণে মায়ের বুকে ফিরল বরিশালের নাসরিন।।

জাকারিয়া আলম দিপু।।

মা-বাবার কাছে ফিরেছে বরিশালের বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী নাসরিন আক্তার। বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাকির হােসেনের একান্ত প্রচেস্টায় অবশেষে বাবা মায়ের কাছে ফিরলো নাসরিন। তিনি ফেজবুকে পোষ্ট দেয়া সহ নানান ভাবে কার্যক্রম চালানোর পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত সে তার মা-বাবাকে ফিরে পেয়েছে বাকপ্রতিবন্ধি নাসরিন।। নাসরিনের মা-বাবা গত ২৫ তারিখ শুক্রবার বরিশাল জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর এই কিশোরীকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় মা-বাবাকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে নাসরিন কান্নায় ভেঙে পড়ে।

হামিদ মৃধা জানান, নাসরিনের সঙ্গে তার মায়ের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এ সময় তার মা রাগারাগি করেছিলেন। এরপর সে আকস্মিক বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। আত্মীয়স্বজন ও পরিচিত সবার বাড়ি এবং সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও এতদিন তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সোসাল মিডিয়া ফেসবুকের কল্যাণে মায়ের বুকে ফিরল বরিশালের নাসরিন।।

নাসরিন।।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ জানান, গত ২৭ মার্চ নগরীর পলাশপুর এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন নাসরিনকে উদ্ধার করে কাউনিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশ তাকে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠায়। তার পরিচয় জানার জন্য গত ২২ আগস্ট ফেসবুকের বরিশাল সমস্যা ও সম্ভবনা গ্রপে নাসরিনের ছবিসহ একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই ছবি দেখার পর রুবেল নামের এক তরুণ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তিনি নাসরিন ও তার পরিবারকে চেনেন। এভাবে জানা যায়, নাসরিন বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্ণকাঠী গ্রামের হামিদ মৃধার মেয়ে। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে হামিদ মৃধা ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগমের কাছে তাদের মেয়ে নাসরিনকে তুলে দেওয়া হয়।

সোসাল মিডিয়া ফেসবুকের কল্যাণে মায়ের বুকে ফিরল বরিশালের নাসরিন।।

সোসাল মিডিয়া ফেসবুকের কল্যাণে বাবা মেয়েকে খুজেঁ পেয়ে বাবার কোলে নাসরিন।।

উল্লেখ্য মেয়েটির নাম নাসরিন। প্রায় ১৫ বছর বয়সের নাসরিন কথা বলতে পারে না। কানেও কম শোনে। তবে সে কিছু কিছু লিখতে পারে।তবে তাও এলোমেলো। সে গত ৫ মাস ধরে বরিশাল নগরীর কাশিপুর মহিলা অধিদপ্তরের,মহিলা সহায়তা কর্মসূচি আশ্রায়ন কেন্দ্রে রয়েছে কিন্তু ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে ঠিকানা মনে করে লিখতে পারে না। শুধু লিখতে পারে – তার নাম নাসরিন,বোন- ময়না, ভাই- জাহিদ,বাবা- হামেদ এবং মা রেহেনা। বাবা মসজিদের ইমাম ইঙ্গিতে বুঝিয়েছে।

গত ২৭ মার্চ ২০১৭ কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ মেয়েটিকে রূপাতলী বাস স্ট্যান্ডে এক মহিলার মাধ্যমে পেয়ে মহিলা সহায়তা কর্মসূচি কেন্দ্রে হস্তান্তর করে। তারপর থেকে নানাভাবে চেষ্টা করা হয় তার ঠিকানা উদ্ধারের জন্য।