বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সব বাংলাদেশিকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৬ মার্চ) ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সকল বাংলাদেশিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ লালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দর্শনে বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজীকরণ এবং দেশের উন্নয়নে আমরা আশু, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতাহার বাস্তবায়ন অগ্রগতিও নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকি। এ সকল কারণে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা এবং জোরালো সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।
বিগত তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সবকটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে সরকার পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যেই আমরা রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছি। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় নিয়ে এসেছি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশিতে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে সুনীল অর্থনীতির দ্বার উন্মুক্ত করেছি।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহলবাসীর দীর্ঘদিনের দুঃখ-দুর্দশার অবসান ঘটিয়েছি। আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছি। তাছাড়া, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রজেক্টের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, একদিনে ১০০টি সেতু এবং ১০০টি সড়ক উদ্বোধন করেছি। আমাদের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ২,৮২৪ মার্কিন ডলার। আমরা ২০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা অর্থাৎ রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন করছি।
দেশে এবং প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশি নাগরিককে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।