সেঞ্চুরি মিসের অনুশোচনা পোড়াচ্ছে না সাকিবকে!

:
: ৭ years ago

শুরুতে কিছুটা বল্গাহীন ছিল তার ব্যাট। যার বলে প্রথম তিরিশ মিনিট না যেতেই সৌম্য, ইমরুল ও সাব্বির উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন, সেই প্যাট কামিন্সের অফ স্ট্যাম্পের আশ-পাশে থাকা ডেলিভারিতে কয়েকবার পরাস্ত হয়েছিলেন। দু’একবার ব্যাটের বাইরের কোনা ছুঁয়ে বল স্লিপের আশ-পাশ ও মাথার ওপর দিয়ে চলেও গেছে।

কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। এক সময় স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পাওয়া। তারপর উইকেটের দু’দিকে আক্রমণাত্মক শটস খেলে শতরানের বেশ কাছে চলেও গিয়েছিলেন।

কিন্তু মাত্র ১৬ রান দুরে থাকতেই অফ স্পিনার নাথান লিওনের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে ক্যাচ তুলে বিদায় নিলেন। দলের বিপদে শক্ত হাতে হাল ধরা। অজি ফাস্ট ও স্পিন বোলিংকে এলোমেলো করে দিয়ে শতরানের খুব কাছে গিয়ে তা ছুঁতে না পারার আক্ষেপ থাকতেই পারে।

অতিবড় সমালোচকও মানছেন, যে অবস্থার মধ্য থেকে সাকিব মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন, তাতে করে শতরানটা তার পাওনাই ছিল। এমন সংগ্রামের পর শতরান করতে না পারায় কি কোনই আফসোস নেই?

সাকিবের জবাব, ‘আক্ষেপের তো শেষ নেই। সেটা থাকবেই। সেঞ্চুরি করতে পারলে ভালো লাগতো অবশ্যই। যতটা করতে পেরেছি তাতে সন্তুষ্ট। তবে অবশ্যই আরো কিছু করতে পারলে আরো খুশি হতাম।’

বন্ধু তামিম ইকবালের সাথে তার বড়-সড় পার্টনারশিপ কম। টেস্টে মাত্র গোটা পাঁচেক বড় জুটি আছে। আজ দলের বিপদ ও চরম সংকটে উইকেটের মাঝখানে দাড়িয়ে দুই বন্ধু কি আলাপ করেছিলেন?

সাকিবের নির্লিপ্ত জবাব, ‘কিছুই না। ওভাবে কথা হয় না তো। জাস্ট ব্যাটিং করতে থাকা। যতক্ষণ সম্ভব। প্রথম সেশন যাওয়ার পর আমরা আরো ভালো ব্যাটিং করছিলাম। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের জন্য কাজটা সহজ ছিলো। কারণ অনেক দিন একসঙ্গে খেলেছি। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব আছে, এমনও নয় ব্যাপারটা। দুজনেরই ৫০ টেস্ট হচ্ছে। বোঝাপড়া নিয়ে শঙ্কা থাকার কথা নয়।’

প্রথম দিনই ১৩ উইকেটের পতন। এ ম্যাচ কি পাঁচদিন পর্যন্ত যাবে? না তার আগেই শেষ হয়ে যাবে? সাকিব মনে করেন, ‘এখন পর্যন্ত যা হলো, তাতে মনে হয় না পাঁচদিন যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। হয়তো কাল উইকেট একটু ভালো আচরণ করতে পারে। প্রতিটি দিনই আসলে নতুন। দিনের শুরুতে হয়তো কিছুটা প্রেডিক্ট করা যেতে পাওে; কিন্তু এখন কিছু বলে দেয়া মুশকিল।’

সাকিবের কথার শেষ অংশ সত্য হলে কিন্তু বিপদ। ইতিহাস কিন্তু অমন সাক্ষী দিচ্ছে। শেরে বাংলার উইকেট কখনো কখনো দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় দিনে ভাল হয়ে যাবার রেকর্ড আছে। তাহলে কিন্তু চিন্তার কারণ। তখন বাংলাদেশের লিড নেয়ার পথ সঙ্কুচিত হয়ে যেতে পারে।