সেই ভিডিও ডিলিট করে ক্ষমা প্রার্থনা তরুণের

:
: ৬ years ago

ফেসবুকে একটি ভিডিওতে এক তরুণের দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে অনেকে পোস্ট বা কমেন্ট দিয়ে তীব্র ক্ষোভ আর প্রতিবাদ করছেন। প্রায় ১২ মিনিটের ওই ভিডিও ইউটিউবে দেন সাব্বির নামে এক তরুণ। ইউটিউবে পাওয়া ভিডিওটির নীচে এর স্ক্রিপ্ট লেখক ও পরিচালক হিসেবে হায়াত মাহমুদ রাহাতের নাম উল্লেখ রয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায় যে ছেলে ও মেয়েদের ধূমপান নিয়ে একের পর এক বক্তব্য দিয়েছেন সাব্বির, যা অনেকের কাছেই আপত্তিকর ও বিপজ্জনক উস্কানি বলে মনে হয়েছে।

যেমন মানুষের সমাগমের জায়গা বা পাবলিক প্লেসে তার নিজের ছেলে বন্ধুরা ধূমপান করলে সেটায় তার সমস্যা হয় না, সমস্যা হয় মেয়েরা ধূমপান করলে।

এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। বাধ্য হয়েই ওই তরুণ ভিডিওটি ইউটিউব থেকে মুছে দিয়ে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি ফেসবুকে মাফ চেয়ে লিখেছেন, ‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি এবং সকলের নিকট ক্ষমা চাইছি।’

এছাড়াও ভিডিওটি মুছে দেয়ার কথাও নিশ্চিত করেছেন তিনি।

ভিডিওর সংলাপ ছিল এমন- তোরা ছেলে মানুষ। তোরা এ জায়গায় স্মোক করলে এ জায়গার এনভায়রনমেন্ট চেঞ্জ হচ্ছে না। কিন্তু একটা মেয়ে মানুষ যখন এভাবে পাবলিকলি স্মোক করছে এ জায়গার পুরো এনভায়রনমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।

ধূমপান নিয়ে তার আরেকটি যুক্তি হলো, একটা ছেলের সবার সামনে সিগারেট খাওয়া নরমাল। কিন্তু একটা মেয়ের জন্য নরমাল না। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো ভিডিওর এক পর্যায়ে তিনি গোপনে মেয়েদের ছবি তুলে সেটি ফেসবুকে আপলোড করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে।

এ ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকই। অনিক খান নামে একজন লিখেন, ‘আমার এই ভিডিও দেখে প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হয়েছে! এন্টি-পাবলিক স্মোকিং একটা স্ট্যান্ড নিলেও কথা ছিল’!

সায়েদ খালেদের মন্তব্য, ‘একটা ফালতু ভিডিও ছাড়া আর কিছু দেখি না ওটাতে’।

আহসানুল কবির ডালিম লিখেছেন, “ফাত্রারে আইনত শাস্তি দেয়ার উপাই কেউ জানেন”?

তানিয়া কামরুন নাহার নামে একজন এ বিষয়ে একটি পোস্টে তার মন্তব্যে লিখেছেন “মূর্খ ও সাইকোপ্যাথ”।