সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি নিশ্চিত : ফখরুল

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৫ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক দিন। এ দিনে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য আছে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তাদের গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অথচ ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কায় আজ তারা পুলিশ, র্যাব অস্ত্র ব্যবহার করছে। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি নিশ্চিত।

শুক্রবার ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আইনজীবী সমিতির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে আলোচান সভায় বক্তব্য রাখেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্র, প্রশাসন, আইন বিচার বিভাগ সবকিছুই ফ্যাসিস্টরা নিয়ন্ত্রণ করছে। ৭১-এ রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছিল, তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

তিনি বলেন, আজ সুপ্রিম কোর্টের মতো পবিত্র জায়গা যেখানে জনগণ ন্যায্য বিচারের পাওয়ার জন্য নিজেদের আশ্রয় মনে করে, সেখানকার কি হাল। এখানকার প্রধানকে বাধ্য করা হয়েছে সরে যেতে। এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই আছে।

ফখরুল বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। দেশব্যাপী আসামি করা হয়েছে ৭৮ হাজার নেতাকর্মীকে। নিহত হয়েছে ৭৪৪ জন। ৭ লাখ ৩৮ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামালা হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে ডেমোক্রেটিক ফোর্সের আন্দোলন সহজ নয়, আমাদের দীর্ঘ লড়াই করতে হবে। ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। জোট বেধে জেগে উঠতে হবে। মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। গণজাগরন সৃষ্টি করে তা ছড়িয়ে দিতে হবে গ্রামগঞ্জে।

২০১৮ সাল হবে বিএনপির এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ বছর হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বছর। আর আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করে বিএনপি, তা প্রমাণ করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে সরকার বিরোধীদল দমনে আরও হিংস্র হয়ে উঠছে। কারণ, তারা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। তাই ২০১৮ সালে একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার শপথ নিতে হবে।