সুরভী-৯ লঞ্চে সাংবাদিক মারধরঃ ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম সংগঠনগুলোর, থানায় অভিযোগ দায়ের

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরিশাল নদী বন্দরে এমভি সুরভী-৯ লঞ্চে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে টেলিভিশন সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মারধরে শিকার ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফার মিদুল ইসলাম মোহন ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রুহুল আমিন ওই অভিযোগ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম। তিনি জানান, ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সুরভী-৯ লঞ্চে যাত্রী নির্যাতনের খর পেয়ে ভিডিও ধারণের জন্য সেখানে গেলে তাদেরও মারধর ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। এ সময় ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।

ওদিকে এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। একই সঙ্গে হামলাকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে।

বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন। বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহা। বরিশাল ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিইমজা) সভাপতি ফিরদাউস সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সুমন। বরিশাল টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিসিএ) সভাপতি গোবিন্দ সাহা, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন হাওলাদার। বরিশাল ফটোসাংবাদিক পরিষদের সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক খান রাসেলসহ সব সংগঠনের নেতারা।

উদ্বেগ জানিয়ে সাংবাদিক সংগঠনগুলো বলছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এভাবে হামলার ঘটনা নৌপথে চলাচলকারী নৌযানগুলোর বেপরোয়া মনোভাব প্রকাশ পায়। সেই সঙ্গে তাদের হাতে যাত্রী ও গণমাধ্যম নিরাপদ নয়। এ জন্য হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সুরভী-৯ লঞ্চটি মেঘনা নদীতে শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। এ ঘটনায় লঞ্চে অবস্থানকারী যাত্রীরা কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করেন। যারা লাইভ করিয়েছেন এবং পোস্ট দিয়ে বার্তা ছড়িয়েছেন, তাদের বরিশাল নদীবন্দরে রোববার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে লঞ্চটি নোঙর করার পর লঞ্চের ম্যানেজার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। এই মারধরের চিত্র সংগ্রহ করতে সেখানে যান ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফার দেওয়ান মোহন ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রুহুল আমিন। এ সময় তাদেরও আটকে মারধর করা হয়।

ঘটনাটি বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সামনেই ঘটেছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বরিশাল ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেন রানা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।