এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করতে পারল না সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী একা রানী দাস। শনিবার দুপুরে বাড়ির সামনের খলায় (ধান মাড়াইয়ের স্থান) বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তার। এ সময় কৃষি শ্রমিক এখলাছুর রহমানেরও (৫৫) মৃত্যু হয়েছে।
নিহত একা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ভাটি সাফেলা গ্রামের রাধিকা রঞ্জন দাসের মেয়ে। ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল সে। ইতোমধ্যে ১৩টি বিষয়ের পরীক্ষার মধ্যে ১১টি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। একার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ভাটি সাফেলা গ্রামের অসুস্থ গৃহস্থ রাধিকা রঞ্জন দাসের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। তিন ছেলেই প্রবাসে থাকেন। শনিবার দুপুরে বাড়ির সামনের খলায় শ্রমিকরা ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন। এসময় ঝড় হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হলে একাও শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বজ্রপাত ঘটলে একা রানী দাস ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় গুরুতর আহত কৃষি শ্রমিক এখলাছুল রহমানকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনার সময় পথেই মৃত্যু হয়। এখলাছুর রহমান একাদের বাড়িতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করেন।
ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ফজলুল হক দোলন বলেন, ‘শেষ দুটি পরীক্ষা দেয়া হলো না তার। একার মৃত্যুতে পুরো এলাকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শোকাহত।’
সদর থানার ওসি শহীদুল্লাহ্ বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু খবর নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’