সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামাতে কমিটি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

ব্যাংকের ঋণে সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। অন্য সদস্যরা হলেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারমান্যান কাজী আকরাম হোসেন, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সরওয়ার ও এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন।

এর আগে রোববার সকালে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বৈঠক করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ব্যাংকের ঋণে সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে আজই (রোববার) সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। এরপরই সন্ধ্যায় সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো।

কমিটি এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে সাতদিন পর প্রতিবেদন দাখিল করবে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া সুদহার সিঙ্গেল ডিজিট জানুয়ারিতে (২০২০) কার্যকর করা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বেকারত্ব দিন দিন বাড়ছে। এ বেকারত্ব কমাতে হলে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। উৎপাদনশীল খাতকে বাঁচাতে ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুদহার এক অঙ্কে নেমে আসেনি কেন এবং খেলাপি ঋণ দিন দিন কী কারণে বাড়ছে সেটা তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। আগামী সাতদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে কমিটি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।

কমিটিতে কারা থাকবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, একজন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হবে। কমিটির সদস্য সংখ্যা হতে পারে মোট সাত।

দেশে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা দেয়া হয়েছিল, কিন্তু হাইকোর্ট সেটায় স্থগিতাদেশ দেয়ায় ব্যবসায়ীরা এ সুবিধা নিতে পারেননি। এ কোয়ার্টারে খেলাপি বেড়েছে। তবে বর্তমানে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ অবশ্যই কমবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে শুরু থেকেই আমরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারিনি। এ কারণেই সুদহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সুদহার বৃদ্ধি পেলে একটি দেশের উৎপাদনশীল খাত, শিল্প খাত উন্নত হতে পারে না। এ মুহূর্তে যেকোনো ভাবে এ খাতকে এগিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।