সিলেট নগরে পৃথক স্থান থেকে এক নারী চিকিৎসক ও মেডিকেলে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নারী চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর অতিরিক্ত পড়ালেখার চাপের কারণে ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করতে পারেন বলে দাবি পুলিশের। নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট নগরের পশ্চিম পাঠানটুলা থেকে সিলেট পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক প্রিয়াংকা তালুকদার শান্তা (২৯) নামের ওই নারী চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি শান্তার পরিবারের। শান্তার আত্মহত্যার ঘটনায় তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে নগরের পল্লবী আবাসিক এলাকার বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন, স্বামী স্থপতি দিবাকর দেব কল্লোল, শ্বশুর সুভাষ চন্দ্র দেব ও শাশুড়ি রত্না রানী দেব।
ডা. শান্তার বাবা হৃষিকেশ দাস তার মেয়েকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশের ওসি শাহ মো. হারুনুর রশীদ বলেন, নারী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
একাধিক সূত্র জানায়, শান্তা ও কল্লোল প্রেম করে বিয়ে করেছেন। তাদের প্রথমে দাম্পত্য জীবন ভালো কাটলেও সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্ম্পকে অবনতি হয়। প্রায়ই দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতো। অনেক সময় শান্তা তার বাবার বাড়িতে গিয়ে সময় কাটাতেন। এরমধ্যে তিন বছর বসয়ী এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয় শান্তা ও কল্লোল দম্পতির। শান্তার পৈত্রিক বাড়ি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাধরপুর গ্রামে।
এদিকে, সিলেট নগরের সুবিদবাজারের ফাজিলচিস্ত এলাকা থেকে ইশরাত জাহান মিথিলা (২১) নামের এক মেডিকেল শিক্ষার্থীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পড়ালেখার চাপের কারণে মিথিলা আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। রোববার ভোরে সুবিদবাজারের ফাজিলচিস্ত এলাকার বাসা থেকে মিথিলার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মিথিলা এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের (সিওমেক) ৫৬ ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ২৭তম ব্যাচের ডা. আবদুল হালিমের মেয়ে।
মিথিলার আত্মহত্যার খবরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহাদাৎ হোসেন জানান, ভোর ৬টায় দিকে ফাজিলচিস্ত থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মিথিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পড়ালেখার চাপের কারণে ইসরাত জাহান মিথিলা আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ও তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
মিথিলার শিক্ষক ও বর্তমানে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. সালমান সাইফুল বলেন, মিথিলা খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। সিলেট রাইফেলস স্কুল থেকে এসএসসি ও এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। ব্যক্তি জীবনে ও খুবই নম্র ও ভদ্র ছিল।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com