র্যাঙ্কিংয়ে আটে উঠার সুযোগ ছিল। এজন্য দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আফগানিস্তানকে হারাতে হতো। কিন্তু ম্যাচটা হেরে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নেমে গেলো দশে। সেই সঙ্গে সিরিজ ড্র। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই সুপারফ্লপ বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে এমন হতশ্রী হারে চরম হতাশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ মাত্র ১১৫ রান সংগ্রহ করে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় শুরুতেই ম্যাচে পিছিয়ে যায় স্বাগতিকরা। টপ ও মিডল অর্ডারে কেউ দলের হয়ে জুটি গড়তে পারেননি। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ ৪৩ রানের জুটি গড়লেও তা পর্যাপ্ত ছিল না। অধিনায়কের মতে, ১৪০ রান হলে ম্যাচের ফল ভিন্নও হতে পারতো।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট ছিল। আমরা জুটি গড়তে পারিনি। ম্যাচটা যেভাবে শেষ হলো, তা খুবই হতাশার। ১৫০-১৬০ রানের উইকেট ছিল না। কিন্তু ১৪০ রান করা যেতো। আমরা ওপরের দিকে বড় জুটি গড়তে পারিনি। আমাদের এখান থেকে এগিয়ে যেতে কিছু জায়গায় রান করতে হবে। আমি ও মুশফিক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওদের বিপক্ষে বড় কিছু করতে পারিনি।’
স্বল্প পুঁজি নিয়ে বোলাররা লড়াই করলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না। তবে তারা সুযোগ তৈরি করেছিলেন। নাসুম নিজের বোলিংয়ে ছাড়েন হজরতউল্লাহ জাঝাইয়ের ক্যাচ। সীমানায় দাঁড়িয়ে আফিফ ও নাঈমের হাত থেকে ফসকে যায় উসমান ঘানির ক্যাচ। মাহমুদউল্লাহ গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের বার্তা দিয়ে রাখলেন ভারী কণ্ঠে, ‘আমাদের ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। এই জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। পরবর্তী টি-টোয়েন্টি খেলার আগে আমাদের সামনে কিছু টেস্ট, ওয়ানডে আছে। সেসব আমাদের ভালো খেলতে হবে। সেগুলো খেলতে মুখিয়ে আছি।’