সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রচণ্ড বাধায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়েনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ৮৫ বছরেও আমার মনে হয় না আমি বুড়ো হয়ে গেছি। আমি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রচণ্ড বাধার মুখে সেটি হয়নি। তবে অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ানো উচিত।
মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সদ্য বিদায়ী সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযমের বিদায় এবং নতুন ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়।
মুহিত বলেন, পেনশন সিস্টেম বদলে যাচ্ছে। কেননা বর্তমানে জীবনব্যাপী চাকরির প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে। মানুষ চুক্তিভিত্তিক চাকরি করতে চায়।
রাজনৈতিক বিবেচনায় আরও ৪ ব্যাংকের অনুমোদন প্রসঙ্গে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি আগেই বলেছি, বাংলাদেশে ব্যাংক বেশি হয়েছে। তারপরও নতুন ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। যেসব নতুন ব্যাংক ভালো করতে পারবে না তারা চলে যাবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মনোয়ার আহমেদকে ইআরডির ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। অন্যদিকে সেদিক থেকেই অবসরোত্তর ছুটিতে যান সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম।