সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড লক্ষ্মীপুর উপকূল

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে মেঘনা উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুর। জেলা সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুরে অন্তত ৩০০ কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েক শতাধিক ছোট-বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে জেলা জুড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এদিকে, জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে অনেক পুকুর, ঘেরের মাছ ও ফসলি জমি। এতে চরম ভোগান্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এখানকার মানুষ। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা করা হবে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানে লক্ষ্মীপুর মেঘনা উপকূলে। সন্ধ্যা থেকে রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টি ও প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় প্রকম্পিত করে তোলে পরিবেশ। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় সর্বত্র। মঙ্গলবার সকালে জেলা সদরের টুমচর, চররমনিমোহন, শাকচর, রামগতির বড়খৈড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, রাতভর সিত্রাংয়ের তাণ্ডবের চিত্র। এসব এলাকা লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট বেশি উচ্চতায় পানি উঠে প্রবেশ করেছে নদী তীরবর্তী লোকালয়ে।

স্থানীয়রা আরো জানান, অনেকেই শেষ আশ্রয় বসতঘর হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন। মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানান সদরের শাকচর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত রহিমা, বাবুল, চররমনিমোহন এলাকার বাদশাহ মিয়াসহ অনেকে।

পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে আরো দুই দিন সময় লাগবে। পুরো জেলায় ১২০টি টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, সিত্রাংয়ের আঘাতে ঘর-বাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পরে তাদের ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে।