প্রথম ওয়ানডেতে ৩০৩ রান করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। জোড়া সেঞ্চুরি করে জিম্বাবুয়েকে জয় উপহার দেন সিকান্দার রাজা এবং ইনোসেন্ট কাইয়া। বিশেষ করে সিকান্দার রাজার অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংস।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ করলো ২৯০ রান। এবারও সিকান্দার রাজার সেঞ্চুরি এবং অপরাজিত ১১৭ রান। তার সঙ্গে সেঞ্চুরি করলেন অধিনায়ক রেগিস চাকাভাও। আজও জোড়া সেঞ্চুরি জিম্বাবুয়ের। তবে সবচেয়ে বড় কথা, সিকান্দার রাজার অনমনীয় মনোভাবের ব্যাটিং। অপরাজিত ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারানোই নয়, সে সঙ্গে সিরিজও জিতে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
একা এক সিকান্দার রাজার কাছেই হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্য উপহার দিয়েছেন তিনি। বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে হারান তিনি। তার সঙ্গে সেঞ্চুরির করেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রেগিস চাকাভাও।
২০১৩ সালের পর ওয়ানডেতে আর কখনো জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ২০১৩ সালেও জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে এসেছিল টাইগাররা। এরপর টানা ৫টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। অবশেষে ৯ বছর পর এসে আবারও সিরিজ জিততে সক্ষম হলো জিম্বাবুইয়ানরা।
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা ফর্মে রয়েছেন সম্ভবত অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ১৩৫ রান করার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও করলেন ১১৭ রান। ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানে ৩ উইকেট এবং ৪৯ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর রেগিস চাকাভাকে সঙ্গে নিয়ে স্বাগতিকদের জয়ের দিকে নিয়ে যান তিনি।
অধিনায়ক রেগিস চাকাভাকে নিয়ে গড়েন ২০১ রানের বিশাল জুটি। এই জুটিটিই বাংলাদেশকে পরাজয় উপহার দিলো। ৭৫ বলে ১০২ রান করে আউট হন অধিনায়ক চাকাভা। ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা।
শুধু ব্যাট হাতেই নয়, এর আগে বল হাতেও বিধ্বংসী ছিলেন রাজা। ১০ ওভার বল করে ৫৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাসকিনের উইকেট নেন তিনি।
প্রথম ম্যাচের চেয়ে ১৩ রান কম করেছে বাংলাদেশ। অথচ, প্রথম ম্যাচে ৩০৩ রান করেও জিততে পারেনি টাইগাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে করেছে ২৯০ রান। আজও জিম্বাবুইয়ানদের জোড়া সেঞ্চুরির কাছে হারতে হলো বাংলাদেশকে।
যদিও ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ এবং স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
এই দুই বোলারের তোপের মুখে ২৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে স্বাগতিকরা। হাসান মাহমুদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়া।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই টি কাইতানোকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন হাসান মাহমুদ। ১ রানে পড়ে এক উইকেট। দলীয় ১৩ রানেও একইভাবে ইনোসেন্ট কাইয়াকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন মুশফিক।
ওয়েসলি মাধভিরে উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি। ১৬ বল খেলেছেন। কিন্তু ২ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হলেন।
টানা তিন উইকেট পড়লেও অন্যপ্রান্তে অপর ওপেনার তাদিওয়ানাশে মুরুমানি উইকেট আগলে রেখেছিলেন। সিকান্দার রাজার সঙ্গে ২১ রানের উটি জুটিও গড়েন তিনি। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের বলে পরবির্তিত ফিল্ডার মোহাম্মদ নাইম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ৪২ বলে করেন ২৫ রান। চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে ৪৯ রানে।
২০১ রানের জুটি গড়ার পর আউট হন অধিনায়ক রেগিস চাকাভা। ৭৫ বলে ১০২ রান করে তামিমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। এরপর ১৬ বলে ৩০ রান করে সিকান্দার রাজার কাজটা সহজ করে দেন টনি মুনিয়ঙ্গা।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com