সালমান শাহ’কে কখনও ভুলতে পারবো না: মৌসুমী

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

সালমান শাহ নামটি ৯০ এর দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের এক উদীয়মান ধূমকেতুর নাম। যিনি হুট করে এসে সম্রাট আলেজান্ডারের মতোই ‘ভিনি ভিডি ভিসি’ বলে বলে সব জয় করে নিলেন। কিন্তু রূপালি পর্দায় অমর নায়ক সালমান যেন এক ঝড়ের পাখি। মুহূর্তের জন্য এলেন, গোটা সিনেমাপাড়াকে মাতালেন, আবার পরক্ষণে সব মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে চলেও গেলেন।

বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকদের মন জয় করা সালমানকে তার অনেক সহকর্মীই ভুলতে পারেন না, পারবেনও না! তাদেরই একজন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে দেশের সিনেমায় আবির্ভাব হয় সালমান শাহ ও মৌসুমীর। এর পর তাদের কাউকেই আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অল্প সময়েই দুজনই পেয়েছেন জনপ্রিয়তা।

গত প্রায় দুই যুগে মৌসুমী তার ক্যারিয়ারকে অনেক বেশি ব্যাপ্তি দিলেও কোনও দিন তার পক্ষে সেই সালমান শাহকে ভুলা সম্ভব নয়। নায়িকা নিজেই গণমাধ্যমকে এমন কথা বললেন।

মৌসুমী বলেন, ‘যদিও মাত্র চারটি ছবিতে আমি সালমান শাহর সঙ্গে কাজ করেছি, কিন্তু সে ছিল আমার প্রকৃত বন্ধু। আজ এতটা বছর পরও তাকে ভুলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। হয়তো কখনও তাকে ভুলে যেতে পারব না। সারা দিন কাজ শেষে সময় করে উঠতে পারিনি, কিন্তু তাই বলে তোকে ভুলে যাইনি, সারা দিন তোকে অনেক মিস করেছি।’

এই অমর নায়কের মৃত্যুর দিনটি স্মরণ করে মৌসুমী বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত প্রতিটি মানুষ চোখের জলে ভাসছে আজ। কারণ আজ সেই দিন, যে দিন আমরা সবাই হারিয়েছি আমাদের অতি প্রিয় ও গুণী একজন তারকা সালমান শাহকে। সে শুধু একজন অভিনেতাই ছিল না, সে ছিল আমার শৈশব, কৈশোরের বন্ধু। ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে পথচলা। মাঝপথে বিরতি, এরপর সোহানুর রহমান সোহান স্যারের “কেয়ামত থেকে কেয়ামত” ছবির মাধ্যমে আমাদের বন্ধুত্ব আবার নতুন করে শুরু হয়। কিন্তু তা খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সিনেমায় কাজ শুরুর চার বছরের মাথায় সে সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যায়।’

সালমান শাহকে এখনও আগের মতোই মনে করেন মৌসুমী। বললেন, ‘তুই আছিস আগের মতো বন্ধু হয়ে মনের গহিনে। যেখানেই থাকিস, ভালো থাকবি, মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এই কামনাই করি।’

গণমাধ্যমকে মৌসুমী জানান, কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমায় একসঙ্গে জুটি হওয়ার আগে থেকেই সালমানের সঙ্গে তার পরিচয় ও বন্ধুত্ব ছিল।

‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছাড়া মৌসুমী ও সালমান শাহ জুটির অন্য সিনেমা হচ্ছে ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘স্নেহ’ ও ‘দেনমোহর’।

মাত্র চার বছরের অভিনয়জীবনে জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক ২৭টি ব্যবসাসফল ও দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দেন। যা আজও বাংলা ছবির দর্শকদের হৃদয়ে দাঁগ কাটে।