থানাগুলোর নিরাপত্তায় সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, ভেঙে পড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনর্গঠনে থানাগুলোর কার্যক্রম শুরুর চেষ্টা করছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিন্তু জীবনের নিরাপত্তাসহ আরো বেশ কয়েকটি দাবিতে কর্মবিরতিতে থেকে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশের অধীন সদস্যরা।
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) দায়িত্ব পাওয়া মো. ময়নুল ইসলাম বাহিনীর সদস্যদের কাজে ফিরতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।
কিন্তু এ সময়ের এক দিন পরও আজ সারা দেশে সব থানার কার্যক্রম শুরু নিশ্চিত করা যায়নি।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পর থেকেই দেশজুড়ে থানাসহ পুলিশের স্থাপনাগুলোতে একের পর এক হামলা শুরু হয়। এর আগেও ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে অল্প কয়েকটি থানায় আক্রমণ করা হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর থেকে নির্বিচারে আক্রমণ হতে থাকে থানায়, ভাঙচুর-লুটপাটও চলে অনেক থানায়। এসব হামলায় বহুসংখ্যক পুলিশ হতাহত হলে অন্যরা নিরাপদে সরে যেতে থাকেন।
অন্যদিকে পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ার পর নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশের অধস্তনরা। পুলিশ সদস্যদের দাবি, বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রাজনীতিবিদদের তাঁবেদারি করার কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুলিশ। এমনকি নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকারকে বাঁচাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর হুকুম দেয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।