সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসাম বলেছেন, ট্রাকের ওভারলোডের কারণে মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওভারলোড নিয়ন্ত্রণের জন্য সারাদেশে ২৩টি ওভারলোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্প দ্রুত পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
শনিবার খুলনার বয়রা এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর খুলনা জোনের কার্যক্রম সম্পর্কে গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে প্রলম্বিত বৃষ্টি ও অতিবৃষ্টিসহ বিভিন্ন কারণে সারাদেশে ৫ হাজার ১১৫ কিলোমিটার মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে এবং কয়েক মাসের মধ্যে তা দৃশ্যমান উন্নয়ন হবে।
গণশুনানিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খুলনা-যশোর মহাসড়কের অবস্থা ভাঙাচোরা। এই সড়ক দিয়ে চলাচলে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও চার লেন করা প্রয়োজন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে খুলনায় পর্যটনেরও বিকাশ ঘটবে। গণশুনানিতে ঠিকাদার ও সওজের কর্মচারীরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
সভায় সওজের খুলনার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, খুলনা নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য ১৬৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। এছাড়া খুলনা-যশোর মহাসড়কের রূপসা ঘাট থেকে আফিল গেট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রাস্তা চার লেন করার প্রস্তাব পাঠানো হবে।
গণশুনানিতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন, অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, ঠিকাদার কাজী মোজাহার হোসেনসহ সওজের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঠিকাদার এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।