ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সেবা ‘নগদ’কে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে সারাদেশে ৯ হাজার ৮৮৬টি পোস্ট অফিসের অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জেলা পর্যায়ের পোস্ট অফিসগুলোকে এবং পরবর্তীতে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের শাখাগুলোকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডাক বিভাগ।
প্রতিটি পোস্ট অফিসে ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’সেবাটি পাওয়া যাবে এবং এ জন্য আলাদা ব্র্যান্ডিং ও প্রযুক্তি স্থাপনের কাজ চলছে।
নতুন করে এ কর্মচাঞ্চল্য নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের ৪০ হাজার কর্মীর বিশাল পরিবার ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদ নিয়ে সত্যিকার অর্থেই যথাযথ প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। ডাক বিভাগের প্রত্যন্ত পর্যায়ের কর্মীরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারার বিষয়টিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। ডাক বিভাগের আধুনিকরণের ক্ষেত্রেও একটা বড় অর্জন। পাশাপাশি এ পদক্ষেপটি দেশের সার্বিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতেও ভূমিকা রাখবে।’
৯ হাজার ৮৮৬টি পোস্ট অফিস আর ৪০ হাজার কর্মী নিয়ে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কয়েক দশক ধরে অর্থ আদান প্রদানের প্রধান মাধ্যম হিসেবে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা দিয়ে আসছে। ডাক বিভাগ সময়ের বিবর্তনে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে চালু হয় পোস্টাল ক্যাশ কার্ড এবং ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম। গত কয়েক বছর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হলে বিগত কয়েক মাস ধরে নতুন উদ্যম লক্ষ্য করা যাচ্ছে ডাক বিভাগের বিভিন্ন স্তরে।
সুশাস্ত কুমার মণ্ডল আরও বলেন, ‘অন্যান্য আর্থিক সেবা সহজ করার পাশাপাশি, নগদ’র মাধ্যমে সামগ্রিক আর্থিক সেবাসমূহ সরাসরি প্রান্তিক পর্যায়ের নাগরিকদের কাছে পৌঁছানোতে গতি আসবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ সরকার। এ ক্ষেত্রে ডাক বিভাগের দেশব্যাপী বিস্তৃত অবকাঠামো এবং ৪০ হাজার দক্ষ জনশক্তি সুদৃঢ় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’