সানা খান কি মুফতি স্বামীর প্রভাবেই সিনেমা ছেড়েছেন?

লেখক:
প্রকাশ: ৫ ঘন্টা আগে

এক সময় বলিউডের পরিচিত মুখ ছিলেন সানা খান। সালমান খানের সিনেমায় অভিনয় থেকে শুরু করে জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো বিগ বস-এ অংশ নেওয়ার সুবাদে বেশ আলোচনায় ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২০ সালে মুফতি আনাস সায়েদকে বিয়ের পর হঠাৎ করেই বিনোদনের জগৎ থেকে বিদায় নেন সানা। পালটে ফেলেন নিজের পোশাক-পরিচ্ছদ ও জীবনধারাও।

তবে এই হঠাৎ পরিবর্তনের পেছনে কি স্বামীর প্রভাব কাজ করেছে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বলিউড অভিনেত্রী জেরিন খান।

জেরিন জানান, “সানার এই পরিবর্তন একেবারেই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বিয়ের অনেক আগেই সানা ছিল একজন ভীষণ ধার্মিক মানুষ। সে কারণে বিয়ের পর যদি সে ধর্মীয় পথ বেছে নেয়, সেটা তার বিশ্বাস ও বোধ থেকে এসেছে। আমি তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।”

সানার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ না হলেও কিছু বিষয় জানেন বলে জানিয়েছেন জেরিন। তার ভাষায়, ‘আজ অনেকে জানেন যে সানা এখন ধর্মীয় জীবন বেছে নিয়েছে। কিন্তু এটা কম মানুষই জানে, সে যখন বিনোদনের জগতে সক্রিয় ছিল, তখনও সে নিয়মিত প্রার্থনা করত, ধর্মে বিশ্বাস রাখত।’

জেরিন আরও বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন গ্ল্যামার জগতে থাকা নারীরা ধার্মিক হতে পারেন না। কিন্তু কেউ ব্যক্তিগত জীবনে কীভাবে জীবনযাপন করছেন, সেটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। বিশ্বাস ও ধর্ম একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়—এটা নিয়ে প্রচার করার দরকার নেই।’

সানার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জেরিন বলেন, ‘সানা আগে থেকেই ধার্মিক ছিল, বিয়ের পর তার বিশ্বাস আরও গভীর হয়েছে মাত্র। এটা তার জীবন, তার পছন্দ। আমি সত্যিই তার জন্য খুশি।’

এক সময় বলিউডের পরিচিত মুখ ছিলেন অভিনেত্রী সানা খান। সালমান খানের ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি; জনপ্রিয় শো ‘বিগ বস’-এ একবার নজর কেড়েছিলেনও। কিন্তু ২০২০ সালে মুফতি আনাস সায়েদকে বিয়ে করার পর তার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। বিনোদনের জগৎ ছেড়ে দেন, পোশাক-পরিচ্ছদেও আসে বড় পরিবর্তন। এবার সানা খানের এই পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুলেছেন ইন্ডাস্ট্রিজের আরেক অভিনেত্রী জেরিন খান।

অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিয়ের পর সানা বলিউড ছেড়ে দিয়েছেন স্বামী মুফতি আনাসের প্রভাবে! সে প্রসঙ্গে জেরিনের বক্তব্য, ‘বিয়ের আগেই সানা ছিলেন ভীষণ ধার্মিক। তাই বিয়ের পর তিনি আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মের পথ বেছে নিয়েছেন, এটা তার একান্তই নিজের সিদ্ধান্ত। আমি ওর এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি।’

জেরিন ও জানান, তিনি সানাকে খুব গভীরভাবে না চিনলেও সানার কিছু দিক সম্পর্কে জানেন। জেরিনের কথায়, ‘মানুষ জানে সানা এখন পুরোপুরি ধর্মমতে জীবনযাপন করছে। কিন্তু ওর বিনোদন দুনিয়ায় থাকার সময়েও ও প্রতিদিন প্রার্থনা করত, ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। এটাই অনেকে জানেন না।’

তিনি আরও বলেন,‘অনেকে ভাবেন গ্ল্যামার দুনিয়ার নারীরা ধার্মিক হতে পারেন না। কিন্তু আমরা ব্যক্তিগত জীবনে কী করি, সেটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ধর্ম ও বিশ্বাস খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার—এটা নিয়ে প্রচার করার দরকার নেই। সানা আগেও ধার্মিক ছিল, বিয়ের পর সে বিশ্বাস আরও গভীর হয়েছে। এটা ওর জীবন, ওর পছন্দ। আমি ওর জন্য খুশি।’