সাকিব-মুজিবের কৃপণ বোলিংয়ে মুশফিকদের ৬ রানের আক্ষেপ

:
: ২ years ago
ফরচুন বরিশাল

শুরু আর শেষটা যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। লক্ষ্য ছিল ১৪৬। ওভার প্রতি ৭.৩ করে প্রয়োজন। কিন্তু প্রথম ১০ ওভারে রান এসেছে ৩.৫০ করে। স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৩৫। সাকিব আল হাসান ও মুজিব-উর রহমানের মায়াবী ঘূর্ণিতে খুলনা টাইগার্স ছিল দিশেহারা। তাইতো শেষ ১০ ওভারে ইয়াসির আলীর ঝড়ে ১০৪ রান তুলেও ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি মুশফিকুর রহিমের দল।

 

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮.৫ ওভারে ১৪৫ রানে করে অলআউট হয় বরিশাল। রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ৬ উইকেটে ১৩৯ রান করে থামে খুলনা। ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুশফিক-ইয়াসিরদের।

 

 

উইকেটের বিচারে সহজ লক্ষ্যই ছিল। কিন্তু এই সহজকে কঠিন করে তোলেন সাকিব-মুজিব। দুজনের ৮ ওভার থেকে খুলনা মাত্র ২৩ রান নেয়! সাকিব ছিলেন বেশি কৃপণ, ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট। পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৪১ রান করে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পান সাকিব। আর মুজিব উইকেট না পেলেও দিয়েছেন মাত্র ১৩ রান। দু দিক থেকে দুজনের ঘূর্ণিতে চাপে পড়ে যায় খুলনা।

 

৩৫ রানে উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হাল ধরেন মুশফিক-ইয়াসির। ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। তবুও শেষ দিকে ইয়াসির ঝড়ে যেন প্রাণ সঞ্চার করে খুলনা শিবিরে। প্রথম ১৩ বলে ১৪ রান করা ইয়াসির ফিফটি করেন ৩০ বলে। মুশফিক মুজিবের হাতে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ইয়াসির শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৫৭ রান করে। ২২ বলে ৩৩ রান করে মুশফিকের আউটে ভাঙে দুজনের জুটি। ৫০ বলে ৭৯ রান যোগ করেন তারা।

 

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রান। দ্বিতীয় বলে সেকুগে প্রসন্ন চার মারেন। পরের বলেই ফেরেন লিনটটের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়ে। ক্ষতি যা হওয়ার ততক্ষণে হয়ে গেছে। শেষ বলে শেখ মেহেদির ৬ সুধু রানের ব্যবধানটাই কমালো।

 

 

মুজিব সাকিব ছাড়া বরিশালের ৩ পেসার ছিলেন খরুচে। শফিকুল ইসলাম, ডোয়াইন ব্রাভো ও মেহেদী হাসান রানা প্রত্যেকে ওভার প্রতি দিয়েছেন ৯ রানের বেশি করে। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ব্রাভো।

 

এর আগে শান্ত-সাকিবের ব্যাটে ভর করে ১৪৬ রানের লক্ষ্য দেয়। ৯ রানে জীবন পেয়েছিলেন সাকিব। এরপর ক্রিজে থিতুও হন। দারুণ শটে দিচ্ছিলেন রানে ফেরার আভাস। আউট হওয়ার আগের বলে লং অফে এক হাতে ছয় হাঁকিয়েছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বিকে। ২৭ বলে ২ চার ৩ ছয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৪১ রান করেন।

 

শান্তও জীবন পেয়েছিলেন ৩৬ রানে। তর সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন মেহেদী হাসান। যেখানে আউট হওয়ার কথা সেখানে ৬ হয়ে যায়। ধীরে শুরু করা শান্ত থামেন ৪০ বলে ৪৫ রান করে।

 

 

এ দুজন ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের মুখ দেখেনি। গত ম্যাচের মতো আজও ব্যাটিং অর্ডারে ওলট পালট করেছে বরিশাল। ওপেনিংয়ে গেইলের সঙ্গে আসেন লিনটটের পরিবর্তে খেলা ব্রাভো। দুজনের সাজঘরে ফেরেন ১৮ রানের মধ্যে। ব্যাটিং অর্ডারে উপরে আসেন তৌহিদ হৃদয়। তিনিও ব্যর্থ হন। আগের ম্যাচে সাতে নামা সাকিব এবার নামেন চারে। শান্ত আসেন তার পরে। দুজনে ৫৯ বলে ৭৯ রান যোগ করেন। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ও জিয়াউর রহমানরা দায়িত্ব নিতে পারেননি।

 

চলতি আসরে প্রথম খেলতে নামা খালেদ নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। তবে ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৪১টি। এ ছাড়া ২ উইকেট করে নেন কামরুল ইসলাম ও ফরহাদ রেজা। এ দিন বল করেছেন ইয়াসির আলীও। ১ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ৮ রান।

 

 

 

৫ ম্যাচে ৩ জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বরিশাল। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ২ জয়ে খুলনার অবস্থান পঞ্চম স্থানে।