প্রায় ঘণ্টা-ব্যাপী সংবাদ সম্মেলন। কিন্তু প্রতিক্রিয়া কিংবা ফলাফল ছিল যৎসামান্য। গ্রাউন্ডসের কেনাকাটা, কিছু নিয়োগ, বেতন বৃদ্ধির তথ্য ছাড়া পুরো সংবাদ সম্মেলনজুড়ে ছিল বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেড়া, দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা।
অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভা নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন এ ব্যাপারে হতাশ করেছেনই বলা যায়। বিশ্বকাপ চলাকালীন দলের ম্যানেজার ও কোচ-অধিনায়কের আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট ছাড়া নিজেরা আলোচনা করলে এর চেয়ে বেশি কিছু না হওয়ারই কথা।
বিসিবি প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শুনে যেটা বোঝা গেলো সেটা হলো বিশ্বকাপ চলাকালীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার নিজেরও স্পষ্ট ধারণা নেই। বিশেষ করে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে দিয়েছেন গৎবাঁধা উত্তর।
পাপন বলেন, ‘এই যে সাকিব, ও তো টি-টোয়েন্টি খেলতে যাচ্ছে। ওখানে গিয়ে যদি খেলা শুরু করে দেয়, তাহলে কি বাদ দিতে পারবেন? নাকি আমি দিব? আমি তো ওকে আরো তাড়াতাড়ি নিয়ে আসব যে জলদি আসো। এগুলা পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করে।’
‘কিন্তু আমি আপনাদেরকে একটা কথা বলতে চাই, শুধু সাকিব নয়, আজকে বাংলাদেশের ক্রিকেট যে জায়গায় এসেছে সেখানে সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ এদের প্রত্যেকের অবদান এত বেশি যে এই সময়ে এসে ওদের দলে চান্স পাওয়া বা ভাল খেলার প্রমাণ করা এটা ওদের জন্য অপমানজনক। আমরা চাই ওরা ওদের সেরাটা খেলে অবসরে যাক’-আরও যোগ করেন।
অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে গড়া দল নিয়ে প্রত্যাশা ছিল বড়। তরুণরা এগিয়ে আসলেও দুই সিনিয়র ছিলেন নিষ্প্রভ। সাকিব একটি ম্যাচ ছাড়া ব্যাটে-বলে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ব্যাট হাতে সাকিব ৭ ম্যাচে করেছেন ১১১ রান, বল হাতে নিয়েছেন মাত্র ২ উইকেট। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৯৫ রান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে আউট হয়েছেন মাত্র ৬ রানে। নষ্ট করেছেন বল।
পারফরম্যান্স দেখে মন খারাপ হয়েছিল বোর্ড প্রেসিডেন্টের, ‘অন্যদিকে শান্ত, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ওদের কাছ থেকে যে প্রত্যাশা ছিল সেরকমভাবে হয়নি। এদিক দিয়ে মনটা একটু খারাপ।’
‘এই উইকেটগুলাতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো টানা ভালো খেলে যাচ্ছে। মূল পর্বে কঠিন উইকেটে ওদের উপরই আমাদের ভরসা ছিল। সাকিব আর মাহমুদউল্লাহর তো খেলে প্রমাণ করতে হবে না ওরা কী। ওদের কি ভালো খেলে দেখাইতে হবে ওরা ভালো প্লেয়ার? ঠিকাছে সাকিব ব্যাটিং পারবে না বোলিং করবে। কিন্তু বোলিংও ভালো করতে পারছে না। এই দল এই সমস্ত কিছু বিবেচনা করে যদি আমরা দেখি আমি মনে করি অবশ্যই আমরা যে দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়েছি সেটা ভালো করেছি।’
চারদিকে টি-টোয়েন্টি থেকে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে রব উঠলেও বিসিবি সভাপতির আস্থা এখনো শতভাগ, ‘তাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। এটাও সত্যি ওরা একটা সময় খেলবে না। এক সময়ে ওরা বলতে পারে খেলবে না। বোর্ডও বলতে পারে। তবে এক সঙ্গে হোক। বোর্ডের সঙ্গে বসে ঠিক পরিকল্পনা হোক, কে কখন যাচ্ছে। আমার মনে হয় সেরকমই হবে।’
সবাইকেই থামতে হয়। সাকিব-মাহমুদউল্লাহরও হবে। এই সূত্র মেনে বিসিবি-ক্রিকেটার দুই পক্ষের মনোভাব নিয়ে তবে সিদ্ধান্তে আসতে চান। তবে কখন কী খোলাসা করেননি।
পাপন বলেন, ‘আমরা একটা রূপান্তরকালীন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, এতেই অনেক কিছু বোঝা উচিত। সব প্রশ্নের উত্তর এখন দিতে পারব না।’
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com