সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আর কিছুই করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে, সাকিব আল হাসান নিজে উদ্যোগ নিলে বিসিবি তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। আজ মিরপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান নাজমুল হাসান পাপন।
আগেই সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল, সাকিবের শাস্তি কমানোর বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেবে বিসিবি। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনই জানিয়েছিলেন, সাকিবের ইস্যুতে বোর্ডের করণীয় খুব সীমিত হলেও, যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন তারা। যদি কোনো সুযোগ থেকে থাকে, অবশ্যই সেটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বোর্ড। সেই আইনি পরামর্শ নেয়ার পরই বোর্ড জানতে পারলো, এ বিষয়ে তাদের আর কিছুই করার নেই। সেটাই আজ জানালেন বিসিবি সভাপতি।
এদিকে সাকিব ভক্তদের কারো কারো ধারণা, কেউ কেউ এমনও বিশ্বাস করেন যে, বিসিবির বিপক্ষে আন্দোলন-সংগ্রাম আর ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাকিব। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাকিবকে উচিৎ শিক্ষা দিতেই আইসিসিকে বলে কয়ে তাকে এত বড় শাস্তি (এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ) দিতে সব আয়োজন করেছেন।
এ চিন্তাটা যে সম্পূর্ণ অমুলক, ওসব কথা-বার্তার যে কোনই ভিত্তিই নেই- তা কে কাকে বোঝাবে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত এ নিয়ে বিস্তর লিখা-লিখি হচ্ছে। এমনকি সাকিব নিজে শাস্তি মেনে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বক্তব্য দেয়ার কিংবা দু তিনদিন পর স্ট্যাটাস দিয়ে পুরো বিষয়টা পরিষ্কার করার পরও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ওপর সাকিব ভক্তদের ক্ষোভ কমেনি।
এমনকি দেশ ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার টিম বাংলাদেশের প্রধান প্রাণ ভোমরা ও চালিকাশক্তি সাকিব আল হাসানের শাস্তি কমাতে বিসিবির করণীয় নিয়েও সংশয় আছে কারো কারো মধ্যে। ভাবটা এমন যে, বিসিবি চাইলেই বুঝি সাকিবের শাস্তির মেয়াদ কমে যাবে!
এই পরিপ্রেক্ষিতেই বিসিবি সাকিবের ব্যাপারে আদৌ কিছু করণীয় আছে কি না? সে সম্পর্কে আজ মুখ খুলেছেন নাজমুল হাসান পাপন নিজেই। তিনি বলেন, ‘সাকিবের বিষয়ে আসলে বিসিবির আর কিছু করার নেই। বিসিবি চাইলে আর উদ্যোগী হলেও শাস্তি কমানো সম্ভব নয়। বরং হিতে বিপরীত হতে পারে।’
তবে বিসিবি প্রধান আশ্বস্ত করেছেন, সাকিব উদ্যোগী হলে বোর্ড তাকে যথা সম্ভব সর্বোচ্চ সাহায্য-সহযোগিতা করবে। এ সম্পর্কে বিসিবি প্রধানের ভাষ্য, ‘সাকিব চাইলে বিসিবি তাকে সবরকম সহযোগিতা করবে। সেটা বিসিবির দূর্নীতি দমন ইউনিট আর লিগ্যাল কমিটির সাথে বসে সম্ভাব্য করণীয় ঠিক করতে হবে।’