ভারতের ম্যাচে বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ফেক ফিল্ডিংয়ের অভিযোগ উঠলেও আম্পায়াররা তা কানে নেননি। পাকিস্তানের বিপক্ষেও বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের শিকার বাংলাদেশ। ১১তম ওভারে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক। এমনকি রিভিউ নেওয়ার পর সাকিবের ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে লাগতে দেখা গেলেও টিভি আম্পায়ারও একই রায় দেন।
বাংলাদেশের অধিনায়ক প্রথম বলেই এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার। তাতে যেন এলোমেলো ব্যাটিং লাইন আপ। শেষ ৫৫ বলে ৫৩ রান যোগ করে বাংলাদেশ। মাত্র ১২৭ রান করে তা ডিফেন্ড করতে পারেনি। পাকিস্তান ৫ উইকেটে জিতে সেমিফাইনালে।
ম্যাচ শেষে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সাকিবের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত নিয়ে।
বাংলাদেশের ইনিংসের ১১তম ওভারে শাদাব খানের করা পঞ্চম বলে সাকিবের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদনে আঙুল তুলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ার হোল্ডস্টোক। সঙ্গে সঙ্গেই সাকিব রিভিউ নেন, টিভি রিপ্লেতেও দেখা যায় বল প্যাডে লাগার আগে সাকিবের ব্যাটে ছুঁয়েছে। তারপরও হতবাক করে দিয়ে টিভি আম্পায়ার জিম্বাবুয়ের ল্যাংটন রুসেরে সাকিবকে আউট দেন।
আউট হওয়ার পর মাঠে ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় সাকিবকে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের মতকে প্রাধান্য দিয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে বলেন আম্পায়াররা।
এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একেবারে জঘন্য সিদ্ধান্ত…। নরকে যাও।’
ভারতের ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া টুইট করেছেন, ‘সাকিবের ব্যাটটা একদমই মাটি ছোঁয়নি। ব্যাটের ছায়ার দিকে দেখুন। স্পাইক ছিল। ব্যাটে বলের আঘাত ছাড়া আর কিছুই ছিল না। বাংলাদেশ বাজে আম্পায়ারিং সিদ্ধান্তের শিকার হলো।’
রত্নিশ নামের একজনের টুইট, ‘বাংলাদেশ ও সাকিব আল হাসান ডাকাতির শিকার। ওটা আউট মনে হয়নি। আইসিসি=পিসিবি।’
সিজরাতুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি ভক্ত লিখেছেন, ‘সবসময় কেন আমাদের সঙ্গেই হয়? আজকের ম্যাচ হারার জন্য কে দায়িত্ব নেবে? সাকিবের বিতর্কিত আউটের দায় কার?’ কেদার যাদব পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুললেন, ‘প্রতারক পাকিস্তান। আইসিসি=পিসিবি।’