চেনা ফর্মে নেই মুস্তাফিজুর রহমান। কাটার স্লোয়ার ইয়র্কারগুলো আর আগের মতো খুনে নয়। প্রতিপক্ষের যম বলে খ্যাত মুস্তাফিজ এখন অনেকটা নখদন্তহীন বাঘ। আর তাই আগামী আইপিএলে মুস্তাফিজকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দুই বছরের নির্বাসন কাটিয়ে আবার আইপিএলে ফিরছে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়েলস। এই দুই দলে যাতে ভালোভাবে দল গোছাতে পারে সেই কারণে আবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে হবে আইপিএলের নিলাম। বাকি দলগুলোর প্রত্যেকটি তিনজন দেশি ও দুজন বিদেশি ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবেন। বাকিদের নিলামের জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
কঠিন এই নিয়মের বলি হচ্ছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। দুজন বিদেশি ক্রিকেটার রাখতে পারবে হায়দরাবাদ। ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষ। অপর ক্রিকেটার সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। শোনা যাচ্ছে, আফগান স্পিনার রশীদ খানকে রেখে দিতে পারে দলটি। তাই নিলামে উঠতে হচ্ছে মুস্তাফিজকে।
আইপিএল গভর্নিং কমিটির কারণে কিছুটা বিপাকে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। সুনীল নারাইনকে রেখে দেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপর বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আন্দ্রে রাসেলের কথা ভাবছে কেকেআর ম্যানেজমেন্ট। এমনকি শোনা যাচ্ছে, আন্দ্রে রাসেলকে ছেড়ে ক্রিস লিনকেও ধরে রাখতে পারে শাহরুখ খানের দল।
দেশি তারকা হিসেবে গৌতম গম্ভীর, মনীষ পাণ্ডে ও রবিন উথাপ্পাকে ধরে রাখতে পারে কেকেআর। আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে দলগুলোকে পাঁচজন ক্রিকেটারের নাম জানাতে হবে। তবে ইচ্ছা করলে নিলামের মধ্য দিয়েও সাকিব-মুস্তাফিজকে ধরে রাখেতে পারে তাদের দল। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, এবারের নিলামে আট কোটি রুপি দিয়ে সাকিবকে কিনে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। একই মূল্য দিয়ে সাকিবকে কেনার সুযোগ থাকবে কলকাতার। কলকাতা যদি আট কোটি দিয়ে সাকিবকে কিনতে না চায় কেবল তখনই হায়দরাবাদ কিনতে পারবে সাকিবকে।