#

ইয়াকুব আলী,ঢাকা: আমরা যারা ঢাকায় বসে সাংবাদিকতা করি তারা ভাবতে পারব না, মফস্বলের সাংবাদিকদের কতটা বৈরী পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। অপ্রিয় সত্য না লিখলে কোনো সমস্যা নেই। এ ধরনের অনুগত সাংবাদিকদের ক্ষমতাধরেরা খুবই পছন্দ করবেন। ইনাম-বকশিশ দেবেন। কিন্তু সত্য কথা লিখলেই নেমে আসবে চাপ, হুমকি, মামলা, জেল ও শারীরিক নির্যাতন। সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের ওপর ২০১৮/ ১৯ সালে দেয়া সাজানো কয়েকটি মামলা ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের নাটকীয় প্রতিবেদন করার আজও পর্যন্ত আদালতের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে তিনি সব হারিয়ে আজ নিঃস্ব। এসব নাটকীয় মামলায় তার মত মেধাবী সৎ সাংবাদিক কে শুধু কষ্টই দিয়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের সাবেক ডিআইডি নিবাস চন্দ্র মাঝি সাথে স্থানীয় মাফিয়া ডনদের ছিল সুসম্পর্ক। এর সম্পর্কের জের ধরে সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিককে এক প্রভাবশালী অর্থের যোগান পেয়ে ময়মনসিংহের ডিবির তৎকালীন এসআই আকরাম হোসেন ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়।

পরবর্তীতে নাটক সাজিয়ে আইসিটি আইনের মামলায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ দুই মাস কারাগারে থাকার পর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী তাকে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের এক প্রভাবশালী অধ্যক্ষ মো ইদ্রিস আলী মামলা করেন। তিনি এ পর্যন্ত ১৭ থেকে ১৮ টি মামলার বাদী হয়েছেন, এরমধ্যে সাংবাদিকের সংখ্যাই বেশি? মামলাটি বাদী ইদ্রিস আলী প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় আদালতে তার প্রভাব বেশি? এ কারনে সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম ও রফিক কে হয়রানি করেন।

ইদ্রিস আলীর সাথে ময়মনসিংহের কয়েকজন অসৎ পুলিশের সাথে তার রয়েছে গোপন সখ্যতা তিনি আমার ত্রিশালের এমপি মাদানী মেয়ের জামাতা? এমপি শুশুরের দাপটে সাংবাদিকসহ একাদিক নিরহ মানুষের বিরুদ্ধে করেন মামলা। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য মানুষ খুন করতেও দ্বিধা করেন না।

এসআই আকরাম হোসেনকে দিয়ে তিনি দুই সাংবাদিক কে অন্যায় ভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন।

স্থানীয় পুলিশের কয়েক সদস্যদের নির্যাতনের শিকার হন পরে সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে রফিক । অনেক সময় পুলিশ বৈরী হলে রাজনৈতিক নেতৃত্ব সহায়তার হাতে বাড়ায়। আবার রাজনৈতিক নেতৃত্ব বৈরী হলে পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায়। অনেক সময় কোনোটাই পাওয়া যায় না।

সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের কি অপরাধ ছিল? ময়মনসিংহ বিভাগের দুর্নীতি, অনিয়ম ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা? এটাই ছিল তাঁর বড় অপরাধ? তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সাংবাদিক কে চিরতরে শেষ করতে চেয়েছিল?

এসআই আকরাম হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তপুবক ব্যবস্থা নিতে মানবাধিকারকর্মী দিলীপ সাহা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মানবাধিকার চেয়ারম্যান, আইজিপি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বরাবরে আবেদন করেছেন। উক্ত অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তদন্তাধীন আছে। এসব অভিযোগ টাকার বিনিময়ে ইদ্রিস আলী দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে ইদ্রিস আলী জানান,আমি পিএসডিধারী একজন সম্পাদক,আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে আপনার বিরুদ্ধেও রিপোর্ট করবো না হয় মামলা করবো।

খায়রুল আলম রফিকের কাছে জানতে চাইলে ফোন রিসিফ করেননি।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন