ভারতের ত্রিপুরায় এক সাংবাদিককে গুলি করে মারার অভিযোগ উঠল ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর)-এর দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের এক সদস্যের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ত্রিপুরার আর কে নগর এলাকায় টিএসআর’এর সদর দফতরে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান ত্রিপুরার বাংলা দৈনিক ‘স্যন্দন’ পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার সুদীপ দত্ত ভৌমিক।
এসময় সুদীপের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয় কর্তব্যরত ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস এর এক সদস্যের। এরই এক পর্যায়ে সাংবাদিককে লক্ষ্য করে ওই টিএসআর সদস্য গুলি চালাল বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই সাংবাদিকের। এই ঘটনার পরই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, টিএসআর সদস্যের নাম নন্দগোপাল রিয়াং। তিনি পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সুদীপ দত্ত ভৌমিককে গুলি করেন বলে অভিযোগ। পরে অভিযুক্ত নন্দগোপালকে আটক করা হয়।
স্যন্দন পত্রিকার সম্পাদক সুবল দে জানান, ‘আমার সংবাদপত্রের সিনিয়ার সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিক আজ দুপুরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েই আর কে নগরে টিএসআর’এর দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের কমান্ডেন্টের সাথে দেখা করতে যান। কিন্তু সুদীপ যখন সেখানে পৌঁছায় কমান্ডেন্টের দেহরক্ষীর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয় এবং সে সময়ই ওই দেহরক্ষী সুদীপকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।
এতে সুদীপ ঘটনাস্থলেই মারা যায়’।
নিহত সুদীপ দত্ত ভৌমিক দৈনিক ‘সন্দন’ পত্রিকা ছাড়াও স্থানীয় টিভি চ্যানেল ‘ভেনগার্ড’ এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মৃত্যুর পরই সুদীপের লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গোবিন্দ বল্লভ পন্থ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিহত সুদীপের মা, স্ত্রী ও দুইটি সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২০ সেপ্টেম্বর মাসে আগরতলার কাছে মান্দাই এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে শান্তনু ভৌমিক নামে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারতে এ নিয়ে ২৬ জন সাংবাদিককে খুন করা হল।