সহকর্মীকে হুমকির অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

:
: ৭ years ago

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকর্মীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। হুমকিদাতা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন। তিনি মুঠোফোনে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রভাষক মেহেদী হাসানকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ হুমকির কারণে নিজে এবং নিজের পরিবার নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী। জিডি নম্বর ৬৪২।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, গত ১০ তারিখে তিনি জিডিটি করেন।

অভিযোগকারী মেহেদী হাসান বলেন, আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জিডি করি। আমি এখনো ভিসি স্যারকে জানায়নি। প্রক্টর স্যারকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। প্রয়োজন হলে ভিসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিব।

জিডিতে মেহেদী হাসান উল্লেখ করেন, গত ৬ নভেম্বর রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা ২৫ মিনিটের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন তাকে ০১৭******৫৪ নম্বর থেকে মোবাইল ফোন করে অত্যন্ত অপমানজনক ও ভীতিকর ভাষায় হুমকি প্রদান করেন।

এতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘অধ্যাপক জামাল ফোনের শুরুতেই আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন বলে উল্লেখ করেন এবং এর আগের একটি ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অত্যন্ত অপমানজনক ভাষায় মিথ্যাচার করেন। এরপর তিনি আমার উপর মিথ্যারোপ করে বলেন, তার কাছে রিপোর্ট আছে যে, তার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় যেসব রিপোর্ট বের হচ্ছে তার সবই আমার পাঠানো। তিনি বলেন, আমার পাঠানো খবরের আগে নাকি তার পক্ষেই সব খবর প্রকামিত হয়েছে। আমিই নাকি তার বিরুদ্ধে ইনকিলাব পত্রিকায় প্রথম সংবাদ প্রকাশ করাই। আমি স্পষ্ট ভাষায় এর প্রতিবাদ করি এবং বলি, ও কাজ আমি করিনি। এরপর তিনি আমাকে বলেন, আমি বলে দিচ্ছি, পরিস্থিতি কিন্তু এমন, যেকোনো সময় যে কোনোকিছু চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে।’

‘এরপর তিনি আমাকে কঠোর ভাষায় হুমকি প্রদান করে বলেন, আমি আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করছেন, এটা কিন্তু আপনার জন্য ভালো হবে না। আপনার পেছনে যত শক্তিই থাকুক না কেনো, কেউ কিন্তু আপানাকে রক্ষা করতে পারবে না। একপর্যায়ে তিনি আমাকে শিবিরের লোক বলেন। তিনি আমাকে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলেন, এসব কথা বলার পরিণাম আপনার জন্য খুব কঠিন হবে। আপনি এর জন্য প্রস্তুত থাকবেন। কারণ পরিস্থিতি যে কোনো সময়ই চেঞ্জ হয়ে যাবে।’

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সার্বিক বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শুনেছি আমাদের এক সহকর্মী অন্য একজন সহকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে থানায় জিডি করেছেন। এতটুকুই জানি।’

অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে ভিসি বলেন, ‘সেটা তখন দেখা যেতে পারে।’