‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে। আমি বলব, ঘোলা পানিতে না; আপনাদের প্রকাশ্যে রাজপথে বাংলার মানুষ মোকাবিলা করবে। তারা এখন ঐক্যবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ। তাদের উদ্বেল অভিযাত্রায় মিছিলে মিছিলে আপনার পদত্যাগের ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে। আপনি দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। মানুষ এখন আপনাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মিছিলে স্লোগান দিচ্ছে। সেজন্যই আপনারা মসনদকে উল্টে পড়া থেকে শেষবারের মতো ধরে রাখার চক্রান্ত করছেন।’
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা দল আয়োজিত বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
রিজভী বলেন, অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া হয়েছে। যিনি অনেক দূরে থেকে গোটা জাতিকে সুসংগঠিত করেছেন। সেই নেতাকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হয়েছে। শুধু তাকে নয়, তার সহধর্মিণী; যার রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তার নামেও মিথ্যা ও চক্রান্তমূলক মামলা দিয়েছেন। এই মামলা চক্রান্তমূলক ও মিথ্যা। জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার মামলা। মসনদকে উল্টে পড়া থেকে শেষবারের মতো ধরে রাখার চক্রান্ত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের সমাবেশ ঠেকাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে লেলিয়ে দিয়েছেন; বিএনপির সমাবেশে যাতে লোকজন না হয়। তারপরও মানুষ হেঁটে, নদী সাঁতরে, সাইকেল নিয়ে চিড়া-মুড়ি বেঁধে নছিমন, করিমন ও ভটভটিতে করে সমাবেশে যাচ্ছে। তিনি বাস বন্ধ করে দিলেন, অন্য যানবাহন বন্ধ করেও বিএনপির জনসভায় এত লোক হচ্ছে কেন? ৬৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বাগেরহাটের একজন। মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল অসুস্থ অবস্থায় রংপুরের সমাবেশে স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদের পরিচালনায় মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, নায়াবা ইউসুফ, শাহিনুর নার্গিস, শামীমা রাহিমসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা তারেক রহমান দম্পতির বিরুদ্ধে পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।