সরকার চায় না, বিরোধীদল নির্বাচনে আসুক: মির্জা ফখরুল

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে হারে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে, বিরোধী দলের অহিংস আন্দোলনে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাতে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে- সরকার চায় না বিরোধীদল নির্বাচনে আসুক। তাহলে তারা নির্বাচনে কারচুপি করতে পারবে না। তাদের একটাই লক্ষ্য, যেকোনো মূল্যে আবারও ক্ষমতায় যাওয়া।

 

তিনি বলেন, আমাদের দাবি একটাই- সরকারের পদত্যাগ। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তারপর দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে সবাই তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। আমরা সেটাই চাই, তার জন্যই আমাদের এই আন্দোলন।

রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশেরর প্রস্তুতি বিষয় নিয়ে দলের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

 

তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বিরোধী দলের নেতাদের পুরোনো সব মামলা দ্রুত শেষ করতে। সরকার প্রধান হিসাবে এরকম কথা তিনি বলতে পারেন না।

দেশের অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে খাদ্যদ্রব্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সংকট, সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশের মানুষ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ কারণেই জনগণ এখন রাস্তায় নেমেছে। তারা তাদের ভোটের অধিকার আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

 

বিএনপির সকল আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যা কিছু অশান্তি করছে, সরকার, তার পেটুয়া বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। তারা বার বার উস্কানী দিয়ে চাচ্ছে, বিএনপি নেতা-কর্মীরা কোনো অশান্তি করে কি না। আমরা সবাইকে বলে দিয়েছি, সকল আন্দোলন হবে অহিংস। ২৮ তারিখের আমাদের মহাসমাবেশও হবে শান্তিপূর্ণ। সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে, যাতে তারা কোনো ঝামেলা না করে।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আন্দোলন করছি, এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাদের সে অধিকার হরণ না করার জন্য অনুরোধ করছি। মহাসমাবেশ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। এখন তাদের দায়িত্ব আমাদেরকে মহাসমাবেশ সুষ্ঠুভাবে করতে দেওয়া। আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, মহাসমাবেশ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।

যৌথসভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব, যুগ্ম-মহাসচিববৃন্দ, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, সকল রাজনৈতিক বিভাগের সাংগঠনিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ, ঢাকা বিভাগের সকল মহানগর ও জেলা সমূহের সভাপতি-আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক-সদস্য সচিব, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক-সদস্য সচিব, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।