সরকার চায় একদলীয় বাকশালী নির্বাচন: রিজভী

:
: ৮ মাস আগে

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলের মাধ্যমে একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে সরকার। সেটি একদলীয় বাকশালী নির্বাচন হবে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যে সরকারের পথরেখা অনুসারে চলবে, তার প্রমাণ তারা দিচ্ছে। সরকারের সাজানো প্রশাসনে কোনো রদবদল করবে না বলে তারা জানিয়েছে। তাদের জন্য এটাই স্বাভাবিক।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ নির্বাচন কমিশন কী করে গ্যারান্টি দিতে পারে যে, এখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে? যাদেরকে আওয়ামী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তারা তো এটাই বলবে, যা বাস্তব সত্য। কারণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের রক্ত পরীক্ষা করে তাদেরকে কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যদিও এটি হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একদলীয় বাকশালী নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অর্থই হলো নির্বাচনী আত্মহত্যা।

 

নির্বাচনের মাঠ খালি করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাজার নামে জেল খাটাচ্ছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ ১৪ জন নেতা এবং রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা যুব দলের সহ-সভাপতি তারেক হাসান সোহাগ, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জহির আলম নয়নকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসি রায়ে সাজা দেওয়ার নিন্দা জানাই।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এসব ফরমায়েসি রায় সুপরিকল্পিত। নির্বাচনের আগে মাঠ ফাঁকা করার জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের শুধু মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারই নয়, পুরনো মামলায় সাজা দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছে। তরুণ এসব নেতাকে যদি সাজা দিয়ে আটকে রাখা যায়, তাহলে শেখ হাসিনার অবৈধ মসনদ টিকে থাকবে বহুদিন। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব নেতাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এদের পরিবার-পরিজন অসহায় জীবন কাটাচ্ছেন।

 

কারাগারে বিরোধী দলীয় নেতাদের ডিভিশন না দেওয়ার নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, যারা সংসদ সদস্য ছিলেন, তাদেরকে ডিভিশন দেওয়া হয় না। আমি জানি, আমাদেরকে প্রায়ই এ সরকারের আমলে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ডিভিশন দেওয়া হয়েছে, শুধু ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে কানেকশনের কারণে। দেশের সুপরিচিত রাজনীতিবিদ ও এমপিদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে ডিভিশন দেওয়া হয়নি। তাদেরকে অমানবিক পরিবেশে মেঝেতে থাকতে দেওয়া হয়েছে। এই শীতে মেঝের ঠান্ডায় তারা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছেন। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্বেও কারা কর্তৃপক্ষ এখনো তাদেরকে ডিভিশন দিচ্ছে না।