সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি, দেশের আকাশ উন্মুক্ত

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি, বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে যে কোনো চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে, কিন্তু দেশের আইন মেনে করতে হয়। আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে যে কোনো বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে সম্প্রচার করতে হয়। সব দেশে আইন মেনে চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে। শুধু আমাদের দেশে আইনকে বছরের পর বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হচ্ছিল।

আইন বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দুই বছর আগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসেছিলাম। বেশ কয়েকবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে, নোটিশ করা হয়েছে। গত মাসের শুরুতে তাদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো বসে সিদ্ধান্ত হয় ১ অক্টোবর থেকে আইন কার্যকর করব।

তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ বলছে ডিজিটালাইড না হওয়া পর্যন্ত আইন শিথিল রাখতে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা পুরোটা ডিজিটালাইড হয়নি। সেখানে আইন কার্যকর আছে। আমাদের দেশে এ ধরনের অজুহাত তোলার কোনো যুক্তি নেই।

আইন মানায় পরিবেশক-অপারেটরদের সাধুবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড (বিজ্ঞাপনমুক্ত) যেহেতু পায়নি সেজন্য তারা সরকারের নির্দেশনা মেনে বন্ধ রেখেছে সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাদের আগেই সময় দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোকে বলে ক্লিনফিড পাঠানোর জন্য এবং তারাও প্রস্তুতি নেয়। যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে, দুই বছর সময় দেওয়া হয়েছে। আমি দুই বছর আগ থেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। এর আগেও এই আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম।

ক্লিনফিডে থাকা চ্যানেল বন্ধের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, ফ্রান্স টিভি, রাশান টিভি, ইউরো টিভি, এনিমেল্ট প্ল্যান্টেটসহ ১৭টি চ্যানেল ক্লিনফিডে আসে। সেগুলোও তারা চালাচ্ছেন না। যেটি কেবল অপারেটর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। সুতরাং কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে শর্ত ভঙ্গের অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড পাঠায় না তাদের এজেন্ট আছে। এই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ও এজেন্টের। এটি কেবল অপারেটরদের দায়িত্ব নয়। কিন্তু কোনো কোনো কেবল অপারেটর এজেন্টদের পাশ কাটিয়ে তারা সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে পাইরেসি করে ডাউনলিঙ্ক করে। সেটি কিন্তু তারা করতে পারেন না। এটি আইন বহির্ভূত।