প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ বিস্তার ঠেকাতে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে লকডাউনের চতুর্থদিন সোমবার মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ী অহরহ চলাচল করছে ।
এতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস দ্রুত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশংঙ্কা রয়েছে। দ্রুত ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ী চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সচেতন নাগরিক আবুল হোসেন বিশ^াস।
জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ বিস্তার রোধে সরকার গত বৃহস্পতিবার লকডাউন ঘোষনা করেছেন।
এ লকডাউন চলাকালিন সময়ে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সকল ধরনের পরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লকডাউনের চতুর্থদিন সোমবার থেকে আমতলী-কলাপাড়া, আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে যাত্রী বোঝাই করে ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ী চলাচল করছে।
এলে বিঘিœত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে তারা গাড়ী চালাচ্ছেন। আমতলী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অন্তত ৫ শতাধিক অটো গাড়ী চলাচল করছে।
এতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস শহরাঞ্চল থেকে গ্রামাঞ্চলে ছড়ানোর আশংঙ্কা রয়েছে। দ্রুত প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ ঠেকাতে গ্রামাঞ্চলকে রক্ষায় অটোগাড়ী চলাচল বন্ধের দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
সোমাবার পটুয়াখালী- কলাপাড়া মহাসড়কের, আমতলী একে স্কুল, ঘটখালী, আমড়াগাছিয়া, সাহেব বাড়ী, মহিষকাটা, মানিকঝুড়ি, শাখারিয়া, কল্যাণপুর ও বান্দ্রা ঘুরে দেখাগেছে, সড়কে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ী অহরহ চলাচল করছে।
যাত্রী খালেক, আয়নাল ও নুরুল ইসলাম বলেন, জরুরী প্রয়োজনে আমতলী গিয়েছিলাম। অটোগাড়ীতে চলে আসছি।
আমতলী পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন বিশ^াস বলেন, প্রশাসনের সামনে আমতলী মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে অটোগাড়ী চলাচল করছে। দ্রুত অটোগাড়ী চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন। নইলে করোনা ভাইরাস প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে যাবে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে অটো গাড়ী চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা কওে ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ী চলাচল করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।