দেশের সরকারি ৩৬ মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৬৮ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি/সমমান, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার প্রাপ্ত জিপিএ মিলে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে (মেধা ও পছন্দ) তাদের নির্বাচিত করা হয়।
সরকারি ৪ হাজার ৬৮টি আসনের মধ্যে সাধারণ আসন ৩ হাজার ৯৬৬, মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে এবং নাতি-নাতনির জন্য ৮২ এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ২০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। একইসঙ্গে মেধাভিত্তিক ৫০০ জনকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। আসন শূন্য হলে মেধা ও পছন্দ অনুযায়ী তারা ভর্তির সুযোগ পাবেন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাক্তার এ কে এম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে আজ প্রকাশ করা হয় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল।
আগামী ২১ থেকে ৩১ অক্টোবর অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে তিনবার কেবল মাইগ্রেশনের মাধ্যমে অন্য মেডিকেল কলেজে বদলি করা হবে। আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে সব মেডিকেল কলেজে একযোগে ক্লাস শুরু হবে।
ভর্তির সময় যেসব কাগজপত্র লাগবে
সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সময় জমা দিতে হবে- এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার পাসের মূল সনদপত্র। প্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্র। জেলা কোটার দাবির ক্ষেত্রে স্থানীয় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা পৌরসভার চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত নাগরিক সনদপত্র। চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি। পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ এবং জেলা প্রশাসকের সনদ ও উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ বা জেলা প্রশাসক কর্তৃক মূল সনদপত্র। অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্রপ্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বপক্ষে ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীন প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত সনদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের পর থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব স্বাক্ষরিত মূল সনদ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনির ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালে জারি বিধি অনুসরণ করা হবে।