‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয় ৮০ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রাইভেটলি স্থাপন করা হয় এবং ম্যানেজ করা হয়। কিন্তু, দেশের ৮০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়।’

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২’ এর দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশ অংশের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের ২০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের আর্থিক সম্পৃক্ততা নেই। তবে, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের স্টাইপেন্ড ও বই—সবকিছুই সরকার দিয়ে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২০ হাজার প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার। নন-এমপিও আছে মাত্র ১ হাজার ৯১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত তিন বছরে সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ২০৩১ সাল পর্যন্ত বড় বিনিয়োগের একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।’

দীপু মনি বলেন, ‘আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোলাবরেশনে এ বছরের শেষ নাগাদ অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’

 

তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে থাকেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান ভালো থাকে। সেখানে ভর্তির জন্য সবাই উদগ্রিব থাকেন। আমি আপনাদের ছোট একটি তথ্য দেই। ভর্তি বাণিজ্য, ভর্তি যুদ্ধ—এগুলো দূর করার জন্য লটারিতে ভর্তির পদ্ধতি চালু করা হয়। এ বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ আসনের জন্য আবেদন করেছে ২ লাখ ৭৬ হাজার। আর সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৯০৭টি। আবেদন করেছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী। কয়েকটি হাতেগোনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশসেরা মেধাবীদের নিয়ে নেয়। ঢাকার কয়েকটি স্কুল, জেলা শহরের কোনো প্রধান স্কুল মানে ভালো হতে পারে। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাটা অনেক বেশি।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ প্রতিবেদনের বাংলাদেশ ব্যাকগ্রাউন্ড স্টাডি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের এডুকেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মাইগ্রেশনের পরিচালক সাফি রহমান খান।