সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসন যন্ত্রের মূল চালিকা শক্তি, তাদের বিনোদনের প্রয়োজন – ফরহাদ হোসেন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

সোহেল আহমেদ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমে সকলের সহোযোগীতায় বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশের তালিকায়। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন নি, তেমনই আমাদের প্রধানমন্ত্রীও নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত না থেকে দেশের মানুষের জন্য নিয়োজিত থেকেছেন। তার নেতৃত্বগুণে আজ দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সরকারের জনপ্রশান প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

আজ শনিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ৩৪ তম বিভাগীয় বার্ষীক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের প্রশাসনযন্ত্রের মূল চালিকা শক্তি। তাদের কর্মব্যস্ত জীবনে প্রাণচাঞ্চল্যতা সৃষ্টির জন্য বিনোদন একান্ত প্রয়োজন।আজকের এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে অনেক ক্রীড়াবিদ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়ায় অংশ নিয়ে দেশের মান উজ্জ্বল করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক সত্যব্রত সাহা বলেন, ছেলে-মেয়েদের ব্রয়লার মুরগি বানাবেন না। তাদের নিজ নিজ গুণ বিকশিত করার সুযোগ দিন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা সাবজেক্ট আইনের ছাত্র বঙ্গবন্ধু যদি শুধু নিজের কথা ভাবতেন- তাহলে কী আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম? বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যদি তার সংসার নিয়েই থাকতে চাইতেন- তাহলে কী আমরা এই নেতৃত্বে পেতাম?

সত্যব্রত সাহা বলেন, ছেলে-মেয়েদের কী কী যোগ্যতা আছে- সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। এসব গুণ পরিচর্যা করার চেষ্টা করুন। কারণ শুধু গোল্ডেন এ প্লাস দিয়ে, ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করা যায় না। একজন মানুষের সম্পুর্ণ বিকাশের জন্য প্রতিটি গুণের বিকাশ প্রয়োজন রয়েছে। খেলাধূলা মানুষের মেধার বিকাশের সৃষ্টিতে সহয়তা করে। সুস্থ্ প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি করে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে খেলাধূলাতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, আশির দশকে বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তিনি বলেন, প্রতিটি জেলা থেকে সরকারি কর্মচারী এবং তাদের সন্তানরা অংশ নিয়ে জেলা থেকে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপ পেড়িয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে আসে। বিভাগীয় পর্যায় থেকে তারা যখন একটি মর্যাদা নিয়ে যায়- তখন পরের বছরের জন্য আরও ভালো প্রস্তুতি নেয়ার অনুপ্রেরণা পায়। সুতরাং খেলাধুলার এ প্রতিযোগিতা অব্যহত রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকারের পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ( সার্বিক) মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে অতিথিরা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ক্রিড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।