আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আগামী তিন মাস নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ করা হবে না বলে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আগামী ৯০ দিন শুল্ক আরোপ করা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলন শেষে রাজধানী বুয়েনস এইরেসে এক বৈঠকে বসেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। চলতি বছর বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটিই তাঁদের প্রথম বৈঠক। চীন বলেছে, তারা ১ জানুয়ারির পর নতুন বাণিজ্য শুল্ক আরোপ না করতে সম্মত হয়েছে।
গতকাল শনিবার জি-২০ সম্মেলনে এই জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতারা একটি সম্মিলিত ঘোষণায় বলেন, বাণিজ্য বিভক্তি থাকতে পারে। তবে রক্ষণশীল মনোভাবের সমালোচনা করেননি তাঁরা। জি-২০-তে আছে বিশ্বের সবচেয়ে শিল্পোন্নত ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর দেশগুলো হচ্ছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
জি-২০ সম্মেলনের আগে তৃতীয়বারের মতো চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চীনের আরও প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি। তবে হোয়াইট হাউস বলছে, বিষয়টি আগামী ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে এ সময়ের মধ্যে যদি দুই দেশ কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে ১০ শতাংশের হার ২৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বরে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তে চীন কৃষি, জ্বালানি, শিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যে ‘খুব উল্লেখযোগ্য’ পরিমাণ কিনতে সম্মত হয়েছে। তবে সেই পরিমাণ কত, তা বলা হয়নি।
চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন অন্যায্য বাণিজ্য করছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল রপ্তানি করলেও চীনের বাজারে মার্কিন পণ্য প্রবেশ সীমিত। এরপরই শুল্ক ও পাল্টা শুল্কের খেলা শুরু হয়। গত জুলাই থেকে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনও ১১০ বিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে পাল্টা শোধ নিয়েছে।