বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ইতিহাসে এই প্রথম এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৯৫ দশমিক ৭৬ ভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। এতে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে আগের সব রেকর্ড ভাঙল বরিশাল বোর্ড।
প্রতিবারের মতো এবারও এ শিক্ষা বোর্ডে ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাস ও জিপিএর হারে এগিয়ে। তবে এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে চার হাজার ৪০৩ জনের। এ বছর কোনো কলেজ শতভাগ ফেল না থাকলেও ৫৬টি প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ রয়েছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬৬ হাজার ৭৯৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৬৩ হাজার ৯৬৪ জন। ছেলে ৩০ হাজার ২৮৯ জন এবং মেয়ে ৩৩ হাজার ৬৭৫ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৭১ জন। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৪৮১ এবং মেয়ে ৬ হাজার ৪৯০ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল প্রকাশ
বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল জেলা। এ জেলায় পাসের হার ৯৬ দশমিক ৯৩ ভাগ। ঝালকাঠিতে ৯৬ দশমিক ৪০ ভাগ, বরগুনায় ৯৬ দশমিক ৩১ ভাগ, পিরোজপুরে ৯৬ দশমিক ১৫ ভাগ, ভোলায় ৯৪ দশমিক ৫৮ এবং পটুয়াখালীতে ৯৩ দশমিক ৪৬ ভাগ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে বেলা সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সব বোর্ডের ফল প্রকাশ করেন। একই সময় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পরীক্ষার ফল প্রকাশের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বোর্ডগুলোর কাছ থেকে ফলাফল গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সিলেটে পাসের হার ৯৪.৮০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ জন, কুমিল্লায় পাসের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩, জিপিও ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭১ জন, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯২.৪৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ জন। চট্টগ্রামে পাসের ৮৯.৩৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭২০, যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৮.১১ শতাংশ। এ ছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০৮৭৮ জন। রাজশাহীতে পাসের হার ৯৭.২৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০০ জন।
এ বছর সারা দেশে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। তবে ২০২১ সালে সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ে মোট ছয়টি পত্রে পরীক্ষা হয়।