অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযানের ফলে মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার বিকেলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় সভায় এ দাবি করেন তিনি। এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ’খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ ) আইন, ২০২৩’ এর বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। খুব শিগগির বাস্তবায়ন হবে। এই আইন হলে ছাঁটাই করে চালের পুষ্টিকর অংশ বাদ দেওয়া বন্ধ হবে।
পাশাপাশি বস্তার গায়ে মিলগেটের দাম, ধানের জাত এবং উৎপাদন তারিখ উল্লেখ করতে হবে বলে যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এখন সব পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের লাভ করার প্রবণতা খুব বেশি। খুচরা বিক্রেতা কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা লাভ করতে চায়। মিলগেট আর খুচরা বাজারে দামের বিস্তর ফারাক।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, আমরা কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে কাজ করছি। অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন তা নিশ্চিত করা হবে।
বস্তার গায়ে মিলগেট চালের মূল্য লেখা থাকলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, আমরা আশা করছি তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত অর্ডার (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা সাধারণ মানুষের কাছে দৃশ্যমান করতে হবে। রমজানের আগে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নির্বিঘ্ন করে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ তিন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।