প্রতিটি গোলের জন্য আলাদা আলাদা উদযাপন করবে ব্রাজিল। মানে সেলেসাঁওরা একই উদযাপন দু’বার করবে না! কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে ব্রাজিল মাঠের অনুশীলন করেছে নাকি উদযাপনের অনুশীলন?
যেটাই করুক, আজ থেকে কাতারে পাওয়া যাবে লাতিন আমেরিকার আসল সুর। তাল, লয় ছন্দ। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপার খোঁজে আজ মাঠে নামতে যাচ্ছে। প্রতিপক্ষ সার্বিয়া।
ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে যাওয়ায় ব্রাজিলের দিকে আজ কড়া দৃষ্টি ফুটবল বিশ্বের। আবার আগের রাতে জার্মানি এশিয়ার জায়ান্ট জাপানের কাছে হেরে যাওয়ায় ফুটবল বিশ্ব তো অবাক। তাইতো ব্রাজিলের ওপর অদৃশ্য চাপ ভর করছে তা এড়ানোর সুযোগ নেই।
কিন্তু মাঠের পরিসংখ্যান, শক্তিমত্তা, পূর্বের ইতিহাস, ঐতিহ্য, অভিজ্ঞতা সব তো সেই হলুদ জার্সির পক্ষেই কথা বলছে। সার্বিয়া কেবল চোখ রাঙানি দিচ্ছে, নিজেদের সেরা দিনের অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
এর আগে দুই দল কেবল দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল। শেষবার ২০১৮ সালে গ্রুপপর্বের ম্যাচেই। যেখানে ব্রাজিল জয় পেয়েছিল ২-০ ব্যবধানে। ২০১৪ সালে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে সার্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল নেইমাররা।
বিশ্বকাপে শেষ ১৫ গ্রুপপর্বের ম্যাচে ব্রাজিল হারেনি একটি ম্যাচও। ১২টি জয় পেয়েছে। ড্র করেছে ৩টি। শেষবার তারা গ্রুপপর্বের ম্যাচ হেরেছে ১৯৯৮ সালে নরওয়ের বিপক্ষে।
একটি পরিসংখ্যান তাদেরকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। ১৯৮২ থেকে প্রতিটি বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে শীর্ষে থেকে নকআউট পর্বে গেছে ব্রাজিল এবং ১৯৬৬ সালে শেষবার তারা গ্রুপপর্বের বাধা টপকাতে পারেনি।
এবার ব্রাজিল ইতিহাসের সেরা কোয়ালিফাইং পর্ব পেরিয়ে কাতারে এসেছে। কোয়ালিফাইং ক্যাম্পে ১৭ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৩ ড্রয়ে মোট ৪৫ পয়েন্ট পায় নেইমার, ভিনিসিউস জুনিয়ররা। বলা হচ্ছে, বাছাইপর্বে তাদের এই পারফরম্যান্সের একমাত্র কারণ ছিল, নেইমারের শিরোপা ক্ষুধা। মূলপর্বে এসে সেই ক্ষুধা নিশ্চয়ই একটুও কমেনি।
বলা হয় ব্রাজিল মানে একক নৈপুণ্যের প্রদর্শনী। অবশ্য তা কোনোভাবেই দলগত সাফল্যকে ছাপিয়ে নয়। তবে ব্রাজিলের এই দলে নেইমারের ওপর অতি নির্ভরতা রয়েছে। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপে তার অভিষেক। এরপর ব্রাজিলের ১৯ গোলের ৮টিতেই তার অবদান রয়েছে (৬টি গোল, ২টি অ্যাসিস্ট)। সব মিলিয়ে দলের সাফল্যের ৪২ শতাংশ তার ওপরই নির্ভরশীল।
এই বিশ্বকাপ তিতের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাজিলের দ্বিতীয় ম্যানেজার হিসেবে ব্যাক টু ব্যাক দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি। ১৯৮২ ও ১৯৮৬ সালে টেলে সান্তনা ব্রাজিলের দুইবার ম্যানেজার ছিলেন। ২০০২ সালের পর ব্রাজিল প্রতিবারই ফেভারিটের তকমা নিয়ে নাম লিখায় বিশ্বকাপে। কিন্তু ২০ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে পারেনি। এবার তিতের দল পারবে কিনা সেটা বিরাট প্রশ্ন। তবে হেক্সা জয়কে এবার অসম্ভব বলছে না কেউ।
একটি অন্যরকম পরিসংখ্যান দিয়ে শেষ করা যাক, এখন পর্যন্ত যেসব সাল ২ দিয়ে শেষ হয়েছে সেইসব বছরে আয়োজিত বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল না হয় ইতালি। ১৯৪২ সালে বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্বকাপ হয়নি। ১৯৬২ সালে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন, ১৯৮২ সালে ইতালি। ২০০২ সালে ব্রাজিল শেষবার চ্যাম্পিয়ন। এবার ২০২২। ইতালি নেই। তাহলে কি ব্রাজিল-ই চ্যাম্পিয়ন। কট্টর ব্রাজিল সমর্থকরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করবে নিশ্চয়ই।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com